করোনা পরিস্থিতিতে ডিএমপি কমিশনারের ১০ নির্দেশনা

প্রকাশিতঃ 6:13 pm | March 28, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে হোটেল ও বেকারিগুলো খুলতে দিতে হবে। সেইসঙ্গে সেখানে কর্মরতদের অবাধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে দিতে হবেসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ১০টি নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

শনিবার (২৮ মার্চ) সকালে ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি), সহকারী কমিশনার (এসি) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) কাছে পাঠানো এক বার্তায় এসব নির্দেশনা দেন তিনি।

কমিশনারের ১০টি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, অনেকের রান্না-বান্নার ব্যবস্থা নেই, তাদের জন্য খাবার হোটেল, বেকারি খোলা রাখতে দিতে হবে। এগুলোতে কর্মরত কর্মচারীদের সড়কে চলাচল করতে দিতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য পণ্যের দোকান খোলা রাখতে দিতে হবে, এসব দোকানে কর্মরতদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে দিতে হবে।

বার্তায় তিনি আরও বলেন, খাবার হোটেল থেকে গ্রাহকদের খাবার পার্সেল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিতে হবে। তবে কেউ যদি হোটেলে খেতে চায় তাকে অন্যের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে বসতে দেয়া যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় যে কোনো নাগরিক যেকোনো মাধ্যম ব্যবহার করে চলাফেরা করতে পারবেন। চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা, নিরাপত্তাকর্মী, মেডিকেল স্টাফদের সহযোগিতা করতে হবে।

১০টির মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ৩টি নির্দেশনা রয়েছে। তা হলো- যেকোনো ক্ষেত্রে নাগরিকদের সঙ্গে পেশাদার আচরণ করতে হবে। দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশ সদস্যদেরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ ছাড়া পুলিশের এমন কোনো ঘটনা তৈরি (সিনক্রিয়েট) করা যাবে না যাতে পুলিশের ভাবমূর্তি ও ভালো কাজগুলো ধূলিসাৎ হয়ে যায়।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় একজন নাগরিক যেকোনো মাধ্যম ব্যবহার করে চলাফেরা করতে পারবেন।

‘আমরা প্রথমদিন থেকেই পুলিশকে জনগণের সঙ্গে সদয় আচরণ করার নির্দেশনা দিয়েছি। তবে অনেকেই ভারতের ছবি-ভিডিওগুলো দেখে নেগ্লেন্সি সিচুয়েশন তৈরি করার চেষ্টা করেছে। আমরা পুলিশকে বলেছি, এই অবস্থায় কারও বাইরে বের হওয়ার কথা না। তবে কেউ যেহেতু বাইরে বের হয়েছে নিশ্চয়ই তার কোনো প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রয়োজনের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পারবে পুলিশ। তবে কারও বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের প্রমাণ পেলে আমরা তাকে সাসপেন্ড করব।’

কালের আলো/এনএল/এএইচ

Print Friendly, PDF & Email