আতঙ্কিত হবেন না, সতর্ক থাকুন: জয়

প্রকাশিতঃ 8:43 pm | March 22, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ আকার ধারণ করা প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায় স্থবির গোটা বিশ্ব। চীনের ভূখণ্ড পেরিয়ে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে ১৮০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে। ইতোমধ্যে এই ভাইরাস কেড়ে নিয়ে ১৩ হাজারেরও বেশি প্রাণ। বাংলাদেশের প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন পাঁচজন।

বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে সব ধরনের গণজমায়েত ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব স্কুল-কলেজ।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে জনসমাগম এড়িয়ে চলাসহ বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

জয়ের লেখা ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু ঢাকাটাইমসের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

আপনারা জানেন নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় ১৮০টি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি, তাই ভাইরাসটিকে ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধ করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

চারটি বাদে বাংলাদেশে আসা সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিদেশ ফেরতদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের বাসায় থাকতে বলা হয়েছে তাদের ব্যাপারে সজাগ আছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনস্বার্থে আমরা মুজিববর্ষের কার্যক্রম সীমিত করেছি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নিতেও আমরা প্রস্তুত আছি।

আমাদের চিকিৎসা সেবা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। ভাইরাসটি পরীক্ষা করার সক্ষমতাও আমরা বাড়াচ্ছি। আইইডিসিআর ব্যতীত আরও তিনটি হাসপাতলে বর্তমানে চিকিৎসার সুবিধা আছে। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও এই ভাইরাসের উপসর্গসহ রোগীদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

যার যার জায়গা থেকেও আমাদের অনেক কিছু করার আছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। অসুস্থবোধ করলে বাসায় থাকতে হবে। নিয়মিত সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। নাকে, মুখে ও চোখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় মুখ ঢেকে নিতে হবে। হাত মেলানো ও আলিঙ্গন থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্ভব হলে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে ভূমিকা রাখার সবচেয়ে কার্যকর দুটি উপায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় চলা।

বাঙালি জাতি সহনশীল ও সাহসী। অনেক বড় দুর্যোগও সফলভাবে মোকাবেলার করার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। সব নির্দেশনা মেনে চললে, এই সংকটও আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো। এই মুহূর্তে গুজব থেকেও আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সকল তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিদিনই সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিফিং এর আয়োজন করা হচ্ছে।

আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশেই আছে। আতঙ্কিত হবেন না, সতর্ক থাকুন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জয় আমাদের হবেই। জয় বাংলা।

কালের আলো/এনআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email