পাপিয়া ও তার স্বামীকে রিমান্ডে নেওয়ার দাবী সাবেক সাংসদ তুহিনের

প্রকাশিতঃ 11:16 pm | February 23, 2020

কালের আলো ডেস্ক:

অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে যুব মহিলা লীগ থেকে সদ্য বহিষ্কৃত শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন।

তিনি শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামীকে রিমান্ডে নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন। বলেছেন, আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে অনুরোধ করবো রিমান্ডে নিয়ে বের করা হোক পাপিয়া বা তার স্বামীর সাথে কে কে জড়িত।

রোববার(২৩ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি একটি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। স্ট্যাটাসটি কালের আলো পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

পাপিয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক ,তাই যুবমহিলালীগের পিকনিকে অপুদির সাথে গেলে তাকে আমি চিনেছি ।আমি যেহেতু কর্মী বান্ধব কর্মী তাই সব জেলার বা মহানগর মেয়েদের সাথে আমি ভালো ব্যবহার করি ।আমার সাথে পাপিয়ার একবছর যাবত দেখা হয় না।

আমি ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি, জেলা কমিটি দেয়ার এখতিয়ার আমি রাখি না ,যারা তাকে নেতৃত্বে এনেছে তারা তার ব্যাপারে জবাব দিহি করবে । আমি তীব্র নিন্দা জানাই আমার বিরুদ্ধে যারা উদ্দশ্য প্রনোদিত ভাবে মিথ্যা অপ প্রচারে লিপ্ত হয়েছে ,আমি চ্যালেন্জ দিয়ে বলছি পাপিয়ার সাথে আমার কোন গাড়ীর ব্যবসা বা অন্য কোন ব্যবসা নেই। এসব আগামীতে যুবমহিলা লীগের সম্মেলন কে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত।

আমার স্বামী একজন ক্লীন ইমেজের ব্যবসায়ী। যারা এগুলি করাচ্ছে সে নেত্রীদের পরিবার কে কি ব্যবসা করে সে ফাইল তলব করা হোক । আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কে অনুরোধ করবো রিমান্ডে নিয়ে বের করা হোক পাপিয়া বা তার স্বামীর সাথে কে কে জড়িত।

কেউ মানুষের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না ,তাই সে যেহেতু জেলার সাধারন সম্পাদক আর সে যেহেতু ঢাকা থাকতো তাই পিকনিকে অপুদির মাধ্যমে দেখা হলে সে নিজে থেকে আমার বিভিন্ন কর্মসূচীতে আসতো । আমি কি জানি সে ভালো না মন্দ । সব জেলার মেয়েরা এলেই আমি ভালো ব্যবহার করি ।আমি পাপিয়া কে অল্প সময় চিনতাম ,যারা ফেসবুকে আছে তারা দেখছে তার সাথে একবছর যাবত আমার সাক্ষাত ও নেই ।

আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই তার সাথে আমার কেবল মাত্র সাংগঠনিক সম্পর্ক ছিলো যার দায় দায়িত্ব সংগঠনের সভাপতি সাধারন সম্পাদকের । আমি যদি তার সাথে তার ব্যক্তিগত কোন কর্মে থাকি তবেই কেবল আমার দায়িত্ব ।

আমি দুবাই আওয়ামীলীগের নিমন্ত্রণে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে থাকা অবস্হায় এই চক্রান্ত করা হয়েছে ।যাই হোক কেউ অপরাধী হলে তাকে সাজা দেয়া হোক আর তাদের পিছনে কে কে আছে তাও বের করা হোক ,আশাকরি সত্য বের করে সকল অপরাধীর সাজা নিশ্চিত করা হবে ।

কালের আলো/পিআর/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email