‘সে-ই তো ধন্য যে ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের গর্বিত কর্মী হ‌ওয়ার সুযোগ পেয়েছেন’

প্রকাশিতঃ 11:35 pm | May 19, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

কমিটি ঘোষণা ছাড়াই গত ১১ ও ১২ মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। কমিটি ঘোষণার আগে ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ৩২৩ নেতার সঙ্গে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী দু-একদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের সঙ্গে মতিবিনিময়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হচ্ছে। মূলত পদপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের গণভবনে ডেকে কথা বলতে চেয়েছেন বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র। ছাত্রলীগ নেতাদের ধারণা, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়েই ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের কমিটি ঘোষণার জটিলতার অবসান হতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান অন্তত তিন প্রজন্ম আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এমন পরিবার থেকে ছাত্রলীগের নেতা বানাতে। তাতে তৃণমূল থেকেও নেতৃত্বে আসারও জোরালো সম্ভবনা রয়েছে। সে বিবেচনায় ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রকিবুল ইসলাম রকিব। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির আগেও তিনি আনন্দমোহন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সততা, নিষ্ঠা ও সাহসীকতার সাথে।

সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে মো. রকিবুল ইসলাম রকিব ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। কালের আলো’র পাঠকদের জন্য তা হুবুহু তুলে ধরা হলো–

“ছাত্রলীগ কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়! তাই ইচ্ছে মতো যাচ্ছেতাই করার সুযোগ নেই! ইচ্ছে করলেই ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ারও কোন ফুরসত নেই!

কার্যত ‘ছাত্রলীগ’ একটি সংঘবদ্ধ ঐতিহাসিক পরিবার! পিতা মুজিবের আদর্শ লালন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এই পরিবারের সকল সদস্য‌ই একেকজন ছাত্রলীগের অনুগত কর্মী! তাই ঐতিহ্যবাহী এই বৃহৎ পরিবারে কোন সদস্যের জন্য আলাদা করে কোন বিশেষ বিশেষণ ব্যবহার অতিশয় নিষ্প্রয়োজন! আর ছাত্রলীগে নিজেকে নেতা ভাবার তো নূন্যতম অবকাশটুকুও নেই!কারণ বহু জ্ঞানী গুণী, রথী মহারথীরা ছাত্রলীগের পতাকাতলে সমবেত হয়ে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেছেন! ‘নেতা’ নয় বরং ছাত্রলীগের একজন সামান্য কর্মী পরিচয় দিয়েই তাঁরা তাঁদের উপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্বগুলো অত্যন্ত নিষ্ঠার সহিত পালন করে গেছেন!

বস্তুত রাজপথে নিবেদিত পরীক্ষিত ত্যাগী এবং নিয়মিত মেধাবী ছাত্ররাই ছাত্রলীগের গর্বিত কর্মী হ‌ওয়ার কাঙ্ক্ষিত সুযোগ প্রাপ্ত হয়!সেই তো ধন্য স্বার্থক যে তার ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের একজন গর্বিত কর্মী হ‌ওয়ার সুযোগ পেয়েছেন!
তাই কারো অসামান্য অর্জন বা অসাধ্য সাধনে ‘ছাত্রলীগ’ কভুও ধন্য হয়না, হতে পারে না!

ছাত্রলীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন যেখানে দেশের প্রতিটি বৈধ ছাত্রের স্বার্থ ও অধিকার সমান!
এমন কোথাও লিখা নেই যে কোন গরীব ঘরের সন্তান কখনোই ‘ছাত্রলীগের’ গর্বের অংশমান হতে পারবে না,আবার এমন দলিলও কিন্তু নেই যে অতীতে যারাই ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের বড় বড় পদ অলংকৃত করেছেন কেবল তাদের‌ বংশধর বা সন্তানেরাই কেবল ছাত্রলীগ করার জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার পাবে!

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র যদি কোন বিশেষ শ্রেণীর জন্য সংরক্ষিত হতো তবে তো–
• মাঝির ছেলে মন্ত্রী হতো না মাঝিই হতো
• কৃষকের ছেলে দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি (আব্দুল হামিদ খান) হতো না
• আবার একজন শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে আর যাই হোক বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হতো না! সর্বত্র জয় বাংলা শ্লোগান তুলে তর্জনী উঁচিয়ে বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা’ এনে দিতো না!

সত্যিকার অর্থে ‘ছাত্রলীগ’ তাঁর গর্বিত কর্মীদলকে
• বৈষম্য ভুলে সম্যক সাম্যের শিক্ষা দেয়
• প্রাচুর্য দূরে ঠেলে অনুগত হওয়ার মন্ত্রণা দেয়
• অনর্থক অন্যায় শোষণে,যৌক্তিক কোন দাবি আদায়ে এমনকি নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে ইস্পাত কঠিন লৌহ হওয়ার‌ও নির্দেশ প্রদান করে
• আবার নিতান্ত সম্বলহীন অসহায় ছাত্রটিকেও ‘ছাত্রলীগ’ উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে তবেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হ‌ওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়!
•একজন আদর্শিক ছাত্রলীগ কর্মী স্বদেশের একজন নিভৃত অতন্দ্র প্রহরী হয়ে সর্বত্র রাজপথে জাগ্রত থেকেই তবে তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন করে থাকে!

ছাত্রলীগ আদর্শের কথা বলে
ছাত্রলীগ নেতৃত্ব তুলে আনে…✌

➡বাংলাদেশের সর্বস্তরের প্রতিটি ঘরে ঘরে শিক্ষা শান্তি প্রগতির মহান বার্তা পৌঁছে দিয়ে ছাত্রলীগ কার্যত দেশের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে!
‘ছাত্রলীগ’ আজন্ম‌ই গর্বিত‌!ছাত্রলীগ কর্মী কারো ব্যক্তি স্বার্থে বা কারো টাকায় কেনা গোলাম নয়!

ছাত্রলীগের ইতিহাস সর্বত্র বাংলার সে সংগ্রামী রাজপথে দীর্ঘ ৭০টি বছরের সর্বোচ্চ শ্রম,ঘাম,ত্যাগ তথা লড়াই, সংগ্রাম গৌরব আর সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের এক ঐতিহাসিক ইতিহাস!
বাংলাদেশের ইতিহাস‌ই ছাত্রলীগের ইতিহাস!

একজন ছাত্রলীগ কর্মী
সর্বত্র জাগ্রত অনুপম বিনয়ী ছাত্রলীগ বিজয়ী মহীয়ান
১৯৭১’র রণাঙ্গনের সম্মুখ সমরে ১৭ হাজার ভাইয়ে
নিঃশেষে বুকের তাজা প্রাণ ঢেলে ন’টি মাসে এনেছে
৭ কোটি বাঙালির কাঙ্ক্ষিত সেই স্বাধীনতার সম্মান!

কোটি ছাত্রলীগ কর্মীর নিঃসৃত নিষ্পাপ রক্তের উদরে আজো বীরদর্পে অবিচল আমার শাশ্বত বাংলাদেশ! বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের পরতে পরতে, প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগ কর্মীদের আজন্ম অবিচ্ছেদ্য অবদান!
তাই তো বারেবার বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আবার (যদি সম্ভব হতো) কেবল ‘ছাত্রলীগের‌ই কর্মী’ হতে চান!

আমি ধন্য✌আমি গর্বিত✌আমি ছাত্রলীগ কর্মী

‘ছাত্রলীগ’ আমার ‘ছাত্রলীগ’ তোমার
‘ছাত্রলীগ’ সদা জাগ্রত সারাবাংলার।”

 

কালের আলো/ওএইচ

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে কালের আলো’র ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: KalerAlo/Facebook

Print Friendly, PDF & Email