ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 12:35 pm | February 20, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়ে তিনি তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লিখে গেছেন। কিন্তু বার বার তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিহাস-ইতিহাসই। দেশের ইতিহাস বারবার বিকৃত হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক’ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করতে। একুশের রক্তে লেখা হয়েছিল স্বাধীনতা। আমাদের জন্য এ দিনটি অত্যন্ত গৌরবের।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বায়ান্ন থেকে একাত্তর পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন অবদানের কথা স্মরণ করেন।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগের ভূমিকাও স্মরণ করেন তিনি।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের একুশে পদক বিজয়ী হিসেবে ২০ ব্যক্তি এবং এক প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে।
একুশে পদক ২০২০ পেলেন যারা- ভাষা আন্দোলনে মরহুম আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক, শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান, শিল্পকলায় (অভিনয়) এম এম মহসীন, শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান, মুক্তিযুদ্ধে মরহুম হাজি আক্তার সরদার (মরণোত্তর), মরহুম আব্দুল জব্বার (মরণোত্তর), মরহুম ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর), গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, মরহুম সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি এবং চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার।
পাশাপাশি ‘গবেষণা’য় একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, পুরস্কারের অর্থ এবং একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
কালের আলো/এনআর/এমএইচএ