মাশরাফির অধিনায়কত্ব শেষ হচ্ছে জিম্বাবুয়ে সিরিজেই!

প্রকাশিতঃ 9:55 pm | February 19, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

গত বছর বিশ্বকাপের আগেই গুঞ্জন উঠেছিল যে, বিশ্বকাপ খেলেই হয়তো অবসরের ঘোষণা দেবেন মাশরাফি। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। মাশরাফি টেস্ট খেলেন না, টি-টোয়েন্টি থেকেও নিয়েছেন অবসর। আছেন শুধু ওয়ানডেতে। তাহলে ক্যারিয়ারকে আর কতদূর নিয়ে যাবেন মাশরাফি?

অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর এখনই পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এটা নিশ্চিত যে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজই হতে যাচ্ছে, অধিনায়ক হিসাবে মাশরাফির শেষ সিরিজ। বুধবার এমনটিই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

মাশরাফি সম্পর্কে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাশরাফি অবশ্যই খেলছে এবং সেটা অধিনায়ক হিসেবেই। ও যদি ফিট না থাকে সেটা ভিন্ন কথা। ওর জন্য আমরা কড়াকড়ি করতে চাচ্ছি না। সামনের বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। কারণ, হঠাৎ করে কাউকে অধিনায়কত্ব দিয়ে তো আর বিশ্বকাপ খেলাতে পারব না। সুতরাং খুব শীঘ্রই আমাদের এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। এই সিরিজটা পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করছি।’

তবে, এই সিরিজেই কি মাশরাফির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হবে? বিষয়টি পরিষ্কার করেননি বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘এটা খেলোয়াড়ের উপর নির্ভর করে। আমরা দেখেছি নামিদামি খেলোয়াড়রা পরিকল্পনা করেই বলে দেয়, এটা আমার শেষ সিরিজ। আমাদের ইচ্ছা আছে, ও যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আমরা ঘটা করে তাকে বিদায় জানাব। আর ও যদি খেলতে চায় তাহলে খেলতে পারে। আমরা কেবল অধিনায়কত্বের বিষয়ে ভাবছি। পরে ও যদি নিজের পারফরম্যান্স করে দলে ঢুকতে পারে, ঢুকবে। এটা তো কারো জন্য বাধা নয়। অধিনায়কত্বের ব্যাপারটিতে কিছুদিনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিব।’

২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো অধিনায়ক করা হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। তাকে অধিনায়ক করার পরই বদলে যায় বাংলাদেশ দলের চেহারা। আসতে থাকে একের পর এক সাফল্য। তবে, গত বছর বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি মাশরাফি। দলও খারাপ করেছিল। তারপর থেকেই আলোচনা চলতে থাকে তাকে নিয়ে। সংশয় ছিল তিনি জিম্বাবুয়ে সিরিজে জায়গা পাবেন কিনা। তবে, শেষমেশ তাকে সুযোগ দিচ্ছে বিসিবি।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে দল এখন ঢাকায়। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে শুরু হবে সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচ। এরপর সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তারপর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

কালের আলো/পিআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email