তুরস্কের ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত ১৮

প্রকাশিতঃ 9:19 am | January 25, 2020

কালের আলো ডেস্ক:

তুরস্কে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ শতাধিক।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে পূর্বাঞ্চলীয় ইলাজিগ প্রদেশে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পটির আঘাতে ইলাজিক ও সিভরিস শহরের কয়েকটি ভবন ধসে পড়লে এ হতাহত হয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছে অন্তত ৩০জন। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। ইলাজিগ প্রদেশে আহত হয়েছেন ৪০৫ জন। মালাতিয়া প্রদেশে আহত হয়েছেন আরও ১৪৮ জন।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সোলায়মান সয়লু জানিয়েছেন, ইলাজিক প্রদেশে ১০জন প্রাণ হারান। এই প্রদেশের ইলাজিক সিটি সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পরেও ১৫টি মৃদু ভূ-কম্পন হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিকাল সার্ভে জানায়, প্রায় ৫ লক্ষ জনগণ এই ভূ-কম্পনের আওতায় ছিলেন। এছাড়াও, ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননেও এই ভূ-কম্পন অনুভূত হয়।

তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার গভীরে। ইলাজিগ প্রদেশ ছাড়াও মালাতিয়া প্রদেশ, দক্ষিণাঞ্চলীয় আদানা ও উত্তরাঞ্চলীয় সামসুন এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর দফায় দফায় আফটার শক অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এগুলোর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ থেকে ৩ দশমিক ৩ পর্যন্ত।

আরব ও ইউরেশীয় প্লেটের ওপর অবস্থিত তুরস্ককে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ আগস্ট ৩৭ সেকেন্ডের এক ভূমিকম্পে দেশটিতে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় মারমারা অঞ্চলে কম্পনটি আঘাত হেনেছিল। এর তিন মাসের মাথায় ১৯৯৯ সালের ১২ নভেম্বর ডিজসে প্রদেশে ৭ মাত্রার আরেকটি কম্পন আঘাত হানে। এতে ৮৪৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও প্রায় ৫ হাজার মানুষ।

কালের আলো/এমএম/এডিবি

Print Friendly, PDF & Email