‘ওয়ার্ডবাসীর সন্তান’ হিসেবে নিজেকে বুকের উত্তাপে আগলে রাখার অনুরোধ আসিফের

প্রকাশিতঃ 7:35 pm | January 18, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

সাত সকালে ঘুম থেকে আসিফের জাগার অভ্যাস পুরনো। নির্বাচন উপলক্ষে অনেকেই যে অভ্যাস সবেমাত্র রপ্ত করার চেষ্টা করছেন সেখানে এই অভিজ্ঞতায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলেছেন তিনি। ফজরের নামাজ শেষে প্রাত:ভ্রমণে বের হওয়া লোকজনের সঙ্গে হাত বাড়িয়ে কুশল বিনিময় করছেন।

পার্ক, উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকায় ছুটে বেড়ানোর পর সকালের নাশতা করছেন কোন রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে। সঙ্গী হচ্ছেন দলীয় কর্মী, সমর্থক বা সাধারণ ভোটাররা। চা-নাশতার টেবিলে খোঁজ খবর নিচ্ছেন তাদের। জানতে চাচ্ছেন ব্যক্তিগত বা নাগরিক সমস্যা। নাশতা করতে যারা রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে আসছেন তাদের সঙ্গেই সালাম বিনিময় করছেন। নিজের জন্য দোয়া চাচ্ছেন।

নিত্যদিন ভোর ৬ টা থেকে সকাল ৮ টার এমন দিনলিপি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী আসিফ আহমেদের। এরপর পায়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি।

পাড়া-মহল্লায় তরুণ-যুবাদের আসিফকে ঘিরে কী দারুণ স্বত:স্ফূর্ততা! তাঁরাও যেন কোমরবেঁধে নেমে পড়েছেন তারুণ্যের শক্তিতে বলীয়ান এই প্রার্থীর পক্ষে। সকাল থেকে রাত আসিফের দিনলিপিতে প্রচারণা আর জনসংযোগ ছাড়া অন্য কোন শব্দ নেই যেন!

বয়স্ক বা প্রবীণ ভোটারদের দেখামাত্রই অবনত মস্তকে সালাম দেওয়া, বিনয়ী ভাষ্য আর চিরায়ত ধাঁচের কথাবার্তার বদলে সহাস্যে বুকে টেনে নেওয়ার গুণাগুণ ভোটের মাঠে তাঁর একক আধিপত্য বিস্তারে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে।

ফলে কাউন্সিলর পদে প্রথমবারের মতো প্রতিশ্রুতিশীল রাজনীতিক আসিফ আহমেদ ভোট করলেও ওয়ার্ডের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যেখানেই যাচ্ছেন ঢল নামছে জনতার। সাধারণ মানুষের হৃদয়গ্রোথিত আবেগ-ভালোবাসায় আপ্লুত আসিফও।

একবার নয়, প্রতিবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন নিরাপদ, বাসযোগ্য, মানবিক ও পরিচ্ছন্ন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড গড়ে তুলতে আধুনিকতার সমন্বয় করবেন। এই ওয়ার্ডকে মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনার আলোয় আলোকিত করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে বার্তা দিচ্ছেন।

শনিবারের (১৮ জানুয়ারি) দুপুরের কথাই ধরা যাক না। স্থানীয় সিয়া মসজিদের সামনে দিয়ে ভোটের প্রচারণায় ছুটছিলেন। জোহরের নামাজের সময় হতেই পাশের বাজারের মসজিদে ঢুকে পড়লেন। নামাজের সারি থেকেই দাঁড়িয়ে গেলেন। মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নিজের ঘুড়ি প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করলেন।

নামাজ শেষ করেই মসজিদের গেটে অবস্থান নিলেন আসিফ সমর্থক নেতা-কর্মীরা। মুসল্লিরা বের হওয়া মাত্রই সালাম বিনিময় করে ঘুড়ি প্রতীকের লিফলেট হাতে তুলে দিলেন। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) মসজিদকেন্দ্রিক এমন প্রচারণাতেও আসিফ সমর্থকদের ভোট চাওয়ার এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।

শুধু কী তাই? স্থানীয় মেট্ট্রো হাউজিং, তিন রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের মন জয় করতে অন্যান্য দিনের মতো এদিনও এখানকার পাড়া-মহল্লায় অবিরত ছুটেছেন আসিফ। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেমন গিয়েছেন তেমনি এখানকার প্রতিটি নির্বাচনী সমাবেশে নিজের প্রতিটি বক্তৃতায় ভোটারদের নতুন স্বপ্নে বিভোর করেছেন।

তাঁর প্রতিটি প্রচার-জনসংযোগে সাধারণ মানুষের উৎসাহ-আগ্রহ এবং উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আসিফ আহমেদ প্রতিটি সমাবেশে নিজের জন্য ভোট চাওয়ার পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের জন্যও ভোট চেয়েছেন।

দু’টি সমাবেশে আসিফ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা-চেতনায় কেবলই দেশের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ডিএনসিসির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডবাসীর কল্যাণে নিজের জীবন-যৌবন উৎস্বর্গ করতে চাই।’

নিজেকে ওয়ার্ডবাসীর সন্তান উল্লেখ করে আসিফ আহমেদ বলেন, ‘সমতা, কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুন্দর ও সমৃদ্ধ ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড গড়ে তোলতে চাই আমি। ওয়ার্ডবাসীর প্রতি আমার বিনম্র অনুরোধ, আসুন উন্নয়নের পথেই  চলি।

আপনারা আমাকে বুকের উত্তাপে আগলে রেখে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে ঘুড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। কথা দিচ্ছি, আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে আপনাদেরও আগলে রাখবো।’

কালের আলো/সিএইচ/আরআর

Print Friendly, PDF & Email