ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন উদ্বোধন

প্রকাশিতঃ 2:27 pm | May 05, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাউন্সিলের ৪৫তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। দুই দিনের এই সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর বিশেষ নজর দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দুপুর ১২টার কিছু আগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই অধিবেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এর আগে সকাল ১০টায় এই সম্মেলন শুরু হয়।

৫৭ সদস্য বিশিষ্ট এই সংস্থার প্রায় ৬০০ প্রতিনিধি এবারের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ২৭ জন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ১২ জন প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, ওআইসি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানরা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।

এবার ওআইসির অসদস্য কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলনে এবার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে— ‘ইসলামিক ভ্যালুস ফর সাসটেইনেবল পিস, সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’।

সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী এক বছরের জন্য ওআইসি কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স (সিএফএম)-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছে।

গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে ১৯৮৩ সালে ১৪তম সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

প্রতিবারের মতো এবারো সম্মেলনে প্যালেস্টাইন ইস্যুটি নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করবেন। এছাড়া, রোহিঙ্গা ইস্যুটি বড় আকারে আলোচনা করা হবে এবং একটি রেজ্যুলেশন গ্রহণের বিষয়ে সদস্যরা একমত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানের এজেন্ডায় ওআইসি’র সংস্কারের বিষয়েও জোরালো আলোচনা করার জন্য সবাই একমত হয়েছেন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে এই আলোচনা ভূমিকা রাখবে।

অন্যান্য এজেন্ডার মধ্যে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, জাতিসংঘ বা অন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সদস্যদের ভোট প্রদানের বিষয়ে সমন্বয়, নিরস্ত্রীকরণ, ইসলামোফোবিয়া, জাতিসংঘের সংস্কার ও নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠন, পুলিশের মধ্যে সহযোগিতা ইত্যাদি বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।

আশা করা হচ্ছে, রোববার অনুষ্ঠান শেষে আলোচ্য বিষয় সংক্রান্ত সব রেজ্যুলেশন, ঢাকা ঘোষণাপত্র এবং সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তগুলোর আউটকাম ডকুমেন্ট হিসেবে গৃহীত হবে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী সম্প্রতি বলেন, ‘এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে এবং একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সংস্থাটির সম্মিলিত উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই সম্মেলন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা সিএফএম-এ মূলত যে বিষয়গুলো আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পাবে— সেগুলো হলো মুসলিম বিশ্বের সংঘাত ও চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী। এছাড়া, বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা যে ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে;কিভাবে সেগুলোর সমাধান করা যায়, বিশ্বব্যাপী যে ইসলামোফোবিয়া তৈরি হয়েছে, তা দূরীকরণের উপায়- যথা সভ্যতা ও সংস্কৃতির আন্তঃসংলাপ, মুসলিম উম্মাহর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং ওআইসি দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সাংস্কৃতিক বিষয়সহ বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র খুঁজে বের করা প্রভৃতি।

কালের আলো/এসএ

Print Friendly, PDF & Email