ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় শুনে দৌড় দিলো আসামি!

প্রকাশিতঃ 3:27 pm | May 02, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। লাইসন্স না থাকার কারণে গাবতলী লিংকের (আট নম্বর) পরিবহনের বাসচালক মিলনকে (২৫) একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

আদেশের পর তাকে ট্রাফিক বক্সে রাখা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে পুলিশ সদস্যের রেখেই ট্রাফিক্স বক্সের জানালা খুলে মিলন দিলেন দৌড়…। পরে দেখা গেলো- মিলনের পেছনে দৌঁড়াচ্ছেন পুলিশ।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মিলনের পেছন থেকে পুলিশ সদস্যরা ‘ধর, ধর’ বলে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। ততক্ষণে আসামি মিলন খামারবাড়ী মোড় পার হয়ে উঠে পড়েন মিরপুরগামী একটি বাসে। তবে আপ্রাণ চেষ্টা করেও পালাতে সক্ষম হননি মিলন।

ওয়াকিটকি যোগাযোগের মাধ্যে একটু সামনেই পুলিশ সদস্যরা বাস থামিয়ে আটক করেন দণ্ডপ্রাপ্ত মিলনকে।

মিলন তখন চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘স্যার আমার লাইসেন্স ছিল। পরে লাইসেন্স আনায়ে আপনাদের দেখাইলাম। কিন্তু আপনারা আমার কথা না শুইনাই সাজা দিয়া দিলেন।’

পুলিশ জানায়, চালক মিলনের সঙ্গে কোনো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্স থাকলেও সঙ্গে না রেখে গাড়ি চালানো অপরাধ। তাই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বুধবার দুপুর পর্যন্ত মিরপুর ১, ২, ১০, শ্যামলী ও কল্যাণপুর এলাকায় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হয়। লাইসেন্সবিহীন গাড়ি চালানো, বেপরোয়া গতিসহ বিভিন্ন কারণে ১০ চালককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সর্বমোট মামলা করা হয়েছে ২৪টি, জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৫৩ হাজার টাকা। এছাড়া তিনটি গাড়িকে ডাম্পিংয়ে পাঠানো হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বিআরটিএ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এটা আমাদের নিয়মিত অভিযান। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ছুটির দিনে কেন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছুটির দিনে রাস্তায় গাড়ির চাপ কম থাকে। এ সুযোগে ড্রাইভাররা ছুটিতে থাকে, আর ড্রাইভিং সিটে বসে চালকের সহকারী। এ জন্য আমরা এ দিনটিকে বেছে নিয়েছি।

এ কারণে লাইসেন্সবিহীন এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কের চালক বেশি পাওয়া গেছে বলেও জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম।

ডিএমপি ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান বলেন, সমসাময়িক সময়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো কেন যেন বেড়ে গেছে। তাই এসব চালকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে আমাদের এ অভিযান চলেবে।

কালের আলো/এসকে/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email