লম্বা ছুটির ফাঁদে দেশ, নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ

প্রকাশিতঃ 4:29 pm | April 27, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
টানা এক সপ্তাহের ছুটির ফাঁদে পড়লো দেশ। আজ শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) থেকে আগামী রোববার (০৬ মে) পর্যন্ত নয়দিনের সাতদিনই ছুটি।

মাঝখানে শুধুমাত্র মাঝের সোমবার (৩০ এপ্রিল) ও বৃহস্পতিবার (০৩ মে) খোলা থাকবে অফিস-আদালত।

লম্বা এমন ছুটি পেয়ে অনেকেই গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন। কেউ স্বজনদের নিয়ে হাওয়া বদল করতে কক্সবাজার, কুয়াকাটা কিংবা পর্যটন স্পটগুলোর উদ্দেশ্যে ছুটছেন।

আবার কেউ কেউ সপ্তাহখানের ছুটিতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন। ফিরে যাচ্ছেন মায়ের কোলে, নিজের পৈতৃক ভিটায়।

জানা যায়, কেবলমাত্র দুই ঈদেই লম্বা একটি ছুটি জুটে নাগরিক চাকরিজীবীদের। কিন্তু এবারই প্রথম দীর্ঘ ছুটির এক নজির সৃষ্টি হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও অন্য উপলক্ষগুলো পর পর মিলে যাওয়ার কারণেই কর্মজীবীদের জন্য একেবারে ‘একাদশে বৃহস্পতি’র মতো এ ছুটি।

আজ শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) ও কাল শনিবার (২৮ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটি। এরপর রোববার (২৯ এপ্রিল) বুদ্ধপূর্ণিমার সরকারি ছুটি। পরদিন সোমবার (৩০ এপ্রিল) কর্মদিবস।
তবে আবার পরের দিনই রয়েছে মহান মে দিবসের ছুটি।

পরদিন বুধবার (০২ মে) আবার শবেবরাতের ছুটি। বৃহস্পতিবার (০৩ মে) অফিস খোলা থাকলেও শুক্র (০৪ মে) ও শনিবার (০৫ মে) সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে।

জানা যায়, মধ্য বৈশাখের তাপদাহ, ঝড়-বৃষ্টি তুচ্ছ করেই ছুটি পাওয়া চাকরিজীবীরা কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবনসহ খুলনা অঞ্চল, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং তিন পার্বত্য জেলায় স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে বের হবেন।

আবার ঢাকার কাছাকাছি আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত পর্যটন-বিনোদন স্পটসমূহে এবং বিত্তবান ব্যক্তিদের গড়া খামারবাড়িতেও বেড়াতেও যাবেন অনেকে।

পর্যটকদের সম্ভাব্য ভিড়কে ঘিরে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কক্সবাজার, সিলেট, খুলনাসহ সুন্দরবন, পার্বত্য জেলাগুলোর পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা।

এছাড়া গ্রামমুখী মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়ার সুবাধে প্রত্যন্ত এলাকায় বেচাকেনা এবং আর্থিক লেনদেনও বেড়ে যাবে।

পর্যটন নির্ভর অর্থনীতিও চাঙ্গা হয়ে উঠবে। এ কারণে স্থানীয় হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজ, রেস্ট হাউজ, কটেজগুলো বেশির ভাগ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটন-বিনোদনকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও এখন জমজমাট আবহ।

জুন মাসে ঈদের ছুটির আগে এতো বড় ছুটি নিয়ে অনেকের আবার জল্পনার শেষ নেই। বিশেষ করে কর্মজীবীদের মাঝে ছুটিকে ঘিরে উদ্দীপনার মাত্রা একটু বেশিই।

তাদের ছুটি উদযাপনকে ঘিরে বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল থেকেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছে অনেকেই।

নাড়ির টানে অনেকেই বাড়ি ফিরতে ভিড় করেন বাস ও লঞ্চ টার্মিনালে। বিশেষ করে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সন্ধ্যার পর ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতেও তিল ধারণেরও ঠাঁই ছিল না যেন।

যারা কক্সবাজার ও বান্দরবানে ঘুরতে বাস বা ট্রেনের টিকিট পাননি তারা আজ ছুটির প্রথম দিন শুক্রবারকে (২৭ এপ্রিল) বেছে নিয়েছেন। এদিন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুট দেবেন তারা।

কালের আলো/আরএস/এএ

Print Friendly, PDF & Email