কেরানীগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭

প্রকাশিতঃ 2:08 pm | December 15, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আগুনের ঘটনায় রোববার আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১৭জনে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তাদের মৃত্যু হয়।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক উপদেষ্টা ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ৬ টায় প্রাইম প্লেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানা সহকারী মোস্তাকিমের (২১) মৃত্যু হয়। সে রাজশাহীর তানরের মৃত মোনতাজের ছেলে।

মোস্তাকিমের মৃত্যুর কিছুক্ষণ পরে কারখানা শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাকের (৪২) মৃত্যু হয়। এছাড়া আবু সাইদের (২৯) মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া জানান,মৃতদেহটি ৩টি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রয়েছে।

এ ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। মৃতরা হলেন- বাবলু হোসেন (২৬), মো. সালাউদ্দিন (৩২), আব্দুল খালেক খলিফা (৩৫), জিনারুল ইসলাম মোল্লা (৩২), জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫), ইমরান (১৮), সুজন (১৯), মো. আলম (২৫), রায়হান বিশ্বাস (১৬), ওমর ফারুখ (৩৫), ফয়সাল (২৯), মেহেদী হোসেন (২০), মাহাবুব (২৫) এবং আসাদ (১৪)।

এর আগে গত বুধবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

একতলা টিনশেড ওই কারখানায় ওয়ান টাইম প্লেট, কাপসহ প্লাস্টিকের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হত। কোম্পানির মালিকের নজরুল ইসলাম। আল-আমিন নামে একজন ওই কারখানার ম্যানেজার।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বুধবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ওই কারখানার কোনো অনুমোদন ছিল না।

আগুন লাগার কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কালের আলো/পিএ/এমএম

Print Friendly, PDF & Email