পাসপোর্ট সমস্যা নিয়ে অপপ্রচারে রোম দূতাবাসের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিতঃ 10:21 pm | November 10, 2019

ইসমাইল হোসেন স্বপন ইতালি থেকে:
ইতালির রাজধানী রোমে বাংলাদেশ দূতাবাস পাসপোর্ট হাল নাগাদের বিভিন্ন তথ্য ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালায় থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যে সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে তা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে কাউন্সিলর সিকদার মোঃ আশরাফুর রহমান ও এরফানুল হক এবং প্রথম সচিব শেখ সালেহ আহমেদ সাংবাদিকদের সামনে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।

এ সময় প্রথম সচিব সালেহ আহমেদ ১০ হাজারের অধিক পাসপোর্ট জটিলতা রয়েছে এমন অপপ্রচারের জবাবে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য প্রদান করেন।

তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে ডিজিটাল পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। তখন ৪১৭টি পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়ে এবং দূতাবাস ৪১৭টি পাসপোর্টই প্রদান করে। ২০১৫ সালে জমা পড়ে ২৫ হাজার ৭৫৪টি। প্রদান করা হয় ২৫ হাজার ৬৩৭টি। ২০১৬ সালে জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯০৮টি। প্রদান করা হয় ১৬ হাজার ৯৯৮টি। ২০১৭ সালে ১০ হাজার ৯৮৬টি আবেদন জমা পড়ে। প্রদান করা হয় ১০ হাজার ৫৪০টি। ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৭৮৬টি। প্রদান করা হয় ৭ হাজার ৯৬৭টি। এদিকে সর্বশেষ ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত জমা পড়ে ৮ হাজার ৫৮৭টি। আর প্রদান করা হয় ১১ হাজার ৪৫৬টি।

এ ছাড়া তথ্য পরিবর্তনের কারণে ৭৮২টি এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে ৯২০টি পাসপোর্ট আটকে রয়েছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদফতরে।

এসময় তিনি তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট আবেদন না করার আহ্বান জানান।

কাউন্সিলর এরফানুল হক বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাস ১ জুলাই ২০১৮ থেকে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত এই অর্থবছরে যারা সর্বোচ্চ ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণ করেছে তাদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। এখানে উৎসাহ প্রদানের জন্য ৩ জন পুরুষ ও ২ জন নারী থাকবে। আবেদন করা যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ২ শতাংশ প্রণোদনা কার্যকরী হয়েছে এবং যে ব্যাংকগুলো এখনো করেনি সেগুলোও এই প্রক্রিয়া শুরু করবে। পাশাপাশি ওয়েজ অর্নাস কল্যাণ বোর্ডের নিবন্ধন করলে সন্তানদের লেখাপড়া সংক্রান্ত সহযোগিতা, প্রবাসী ঋণ ও প্রবাসী লাশ বহনের খরচসহ বিভিন্ন সুবিধাগুলোর কথাও জানান।

এদিকে দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির বিষয়ে কাউন্সিলর সিকদার মোঃ আশরাফুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রদূত শুধু রোমেই নয় বিভিন্ন প্রভিন্সগুলোতে কনস্যুলেট সার্ভিসে নিজে যান। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। সেদিক থেকে যে কোন বিষয়ের উপর কথা বা দেখা করতে যে কেউ তাঁর কাছে আসতে পারেন, কথা বলতে পারেন। সেখানে এই ধরনের কর্মসূচিতে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই হবে মূল উদ্দেশ্য অন্য কিছু নয়।

প্রেস কনফারেন্সে অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেস ক্লাব ও বাংলা প্রেস ক্লাব ইটালীর সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এডিবি
নভেম্বর ১০, ২০১৯

Print Friendly, PDF & Email