রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ
প্রকাশিতঃ 12:55 pm | April 07, 2018

কালের আলো ডেস্ক:
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরোজকে গ্রেফতারের পর রংপুরে আবারো আলোচনায় জঙ্গিবাদের বিস্তার প্রসঙ্গটি। বিশেষ করে জোরালো হয়েছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীর গোপন তৎপরতার অভিযোগও। ছাত্র সংগঠনের নেতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, কিছু শিক্ষকের প্ররোচনায় অনেকেই ঝুঁকছেন জঙ্গিবাদে।
এদিকে, গ্রেফতার ‘জেএমবি সদস্য’ সাদিয়াকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা থেকে আটক করা হয়ে রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সাদিয়া আফরোজ নিনাকে।
পুলিশ বলছে, আটক শিক্ষার্থী নব্য জেএমবির নারী উইংয়ের উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছে সাদিয়ার পরিবার।
তার এক স্বজন বলেন, ‘ও শাহ গরীবুল্লাহ গার্লস স্কুলে পড়াশুনা করেছে। আমার এক ক্লাস নিচে পড়তো। আলিমুদ্দীন ডিগ্রি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পড়েছে। পরে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে।’
নিনাদের বাড়ির কাজের মহিলা বলেন, ‘আমি দশ বারো বছর এই বাড়িতে কাজ করছি। কোন দিন এই মেয়ের খারাপ কিছু দেখি নাই।’
সাদিয়াকে গ্রেপ্তারের পর নতুন করে আতঙ্ক শুরু হয়েছে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। মূলত জাপানী নাগরিক কুনিও হোসি এবং মাজারের খাদে রহমত আলী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আহসানুল্লাহ আনসারী ছিলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এছাড়া নিখোঁজ আব্দুল্লাহ আল মামুনও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলো।
সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দাবি, জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হয়তো তাদের কার্যক্রম এখন স্থবির আছে তবে তাদের শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত রয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করছেন না অনেক শিক্ষকই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আপেল মাহমুদ বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় জঙ্গি আতঙ্ক মুক্ত নয়। আমরা কয়েকটি ঘটনা দেখে ফেলেছি। আমাদের সামনে যাতে এ সমস্ত ঘটনা না ঘটে সেজন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা আমাদের খুবই দরকার।’
পুলিশের দাবি রাজধানীর হলি আর্টিজানে হামলার সময় জঙ্গিরা যে অ্যাপস ব্যবহার করেছিলো সাদিয়ার কাছ থেকেও তিনটি অ্যাপস উদ্ধার করা হয়। এই অ্যাপসগুরোর মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনে যোগাযোগ রাখতো সে।
কালের আলো/ওএইচ