আবরার হত্যাকাণ্ডে কূটনীতিকদের বিবৃতি ‘অহেতুক’ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 12:12 am | October 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় কূটনীতিকদের দেয়া বিবৃতিকে ‘অহেতুক’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ ঘটনায় তাদের পদক্ষেপ বন্ধ করা উচিত বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার(১৫ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ড. মোমেন বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বিবৃতি দিয়ে কূটনীতিকরা শিষ্টাচার লঙ্ঘন করেছেন। অহেতুক এটা করেছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে প্রায়ই ঘটে। গতকালও (১৪ অক্টোবর) নিউইয়র্কে একটি রেস্টুরেন্টে হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন, আটজন আহতও হন। কয়েক দিন আগে টেক্সাসে অনেকেই নিহত হয়েছেন। নিউইয়র্কে তো পলাতক ওই ব্যক্তিকে ধরতেই পারল না। কাউকেই ধরতে পারেনি। জাতিসংঘ এটা নিয়ে কোনো বিবৃতি দেয় না। স্কুলের বাচ্চাদের মেরে ফেলল। তাও কেউ বিবৃতি দেয় না। বাংলাদেশে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে, সরকার সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে। স্বীকার করতেই হবে। প্রথম দিনই সরকার বলেছে, এ ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। তারপরও এসব কিসের জন্য?

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিউজিল্যান্ডেও ৫১ জনকে হত্যা করা হলো। এর মানে এই নয় যে, দেশটির সরকারের ঘাটতি ছিল; নিউজিল্যান্ডে সুশাসন ছিল না বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ছিল না। ওই ঘটনায় আমরা (বাংলাদেশ) দুঃখ প্রকাশ
করেছি। অথচ এখানে (বাংলাদেশে) একটু কিছু হলেই বিবৃতি দেয়া হয়। এখানে আমাদের দায়ী করার প্রবণতা আছে। আমি মনে করি এটা বন্ধ হওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।

কালের আলো/এনআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email