ভৈরবে ‘জিল্লুর রহমান সেতু’ উদ্বোধন করলেন পাপন

প্রকাশিতঃ 10:53 pm | October 07, 2019

কালের আলো প্রতিবেদক:

ভৈরবে কালী নদীর ওপর নির্মিত ‘জিল্লুর রহমান সেতু’ উদ্বোধন করেছেন তার ছেলে বিসিবি সভাপতি ও স্থানীয় এমপি নাজমুল হাসান পাপন।

সোমবার(০৭ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদি এলাকায় সাবেক রাষ্ট্রপতির নামে নির্মিত এই সেতু সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।

সেতুটি চালু হওয়ায় ভৈরব ও কুলিয়ারচর দুই উপজেলার লাখো মানুষের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি বাড়বে। পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাতে সহায়ক ভূমিকা থাকবে। এলাকাবাসীকে আর নৌকা দিয়ে কালী নদী পারাপার হতে হবে না।

যুগ যুগ ধরে এই এলাকার মানুষ একটি সেতুর অভাবে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ ও কষ্ট পোহাতেন। এলাকার মানুষের দাবি অনুযায়ী সরকার ৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করেছে। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এই সেতু। তার মৃত্যুর পর ছেলে নাজমুল হাসান পাপন স্বপ্ন পূরণের উদ্যোগ নেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সবার চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলো।

এদিকে সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ভৈরব পাড়ের মানিকদি এলাকায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিবি সভাপতি ও স্থানীয় এমপি নাজমুল হাসান পাপন।

ভৈরব উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সায়দুল্লাহ মিয়ার উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর আর্চায্য। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মো. আনিছুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, পৌর সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার, ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।

নবনির্মিত এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৫২০ মিটার এবং প্রস্হ ৯.৪ মিটার। মোট পিলার ১২টি, আর গার্ডার ৬৫ টি। দুই পাশে এপ্রোচ সড়কসহ মানুষের পায়ে চলার রাস্তা রয়েছে। ২০১৭ সালের ২৮ জানুয়ারি সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে মেসার্স তমা কনস্ট্রাকশন কোং লি.। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ১৯ মাস। কিন্ত নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক বছর বেশি সময় লেগেছে কাজ শেষ করতে। স্হানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এই সেতুটি আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। ভৈরব-কুলিয়ারচর আমার নির্বাচনী এলাকা। এই এলাকার মানুষ একটি সেতুর জন্য যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগ ও কষ্টে ছিল। আজ সেতুটি উদ্বোধনের পর তাদের দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। এখন থেকে কালী নদী পার হতে আর কষ্ট করতে হবে না। বাবার স্বপ্নের কথা বিবেচনা করে এই সেতুর নামকরণ করা হয়েছে ‘জিল্লুর রহমান সেতু’। সেতুটি নির্মাণ সরকারের উন্নয়নের অংশ। সেতুটি উদ্বোধন করতে পেরে আমিও অনেক আনন্দিত হলাম।

কালের আলো/এনআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email