শেখ হাসিনার আমলেই তিস্তা চুক্তি হবে : কাদের

প্রকাশিতঃ 10:30 pm | October 05, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

শেখ হাসিনার ভারত সফর সম্পর্কে বিএনপি নির্জলা মিথ্যা কথা বলছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, বিএনপি বলছে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ব্যর্থ। দেশের জন্য তিনি কিছুই আনতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে আমরা কেউ বলিনি যে, তিস্তা চুক্তি হবে। গঙ্গা চুক্তি শেখ হাসিনা করেছেন, তিস্তা চুক্তিও শেখ হাসিনার আমলেই হবে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর খামারবাড়িতে ‘সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘ’র (সসকস) শারদীয় সংকলন ‘ত্রিনয়নী’র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক বাবু শশাঙ্ক কুমার মজুমদার।

তিনি বলেন, ফেনী নদীর পানি ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য। সেটা এমন কিছু নয়। আমরা ভারত থেকে অনেক কিছুই নিয়ে এসেছি। তিস্তার বিষয়েও কথা হয়েছে। আমরা বলিনি এ বিষয়ে চুক্তি হবে। বিএনপি শুধু শুধু মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। চুক্তি নয়, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কই বড় কথা। আপনার বিভ্রান্ত হবেন না।

গঙ্গার পানি থেকে শুরু করে সীমান্ত চুক্তি, সমুদ্র সীমার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ভারত মেনে নিয়েছে। ভারতের সাথে যে বানিজ্য ঘাটতি সেটি অনেকাংশে কমে এসেছে। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভারত সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গঙ্গা চুক্তির ফলে আজকে বাংলাদেশ ৩৪ হাজার কিউসেক পানি পাচ্ছে। অথচ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভারত সফর শেষে বাংলাদেশের এয়ারপোর্টে নেমে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গঙ্গা পানি চুক্তির কথা বলতে ভুলে গেছেন। শেখ হাসিনা কিছুই ভোলেন না। বাংলাদেশের পাওনার সব বিষয় শেখ হাসিনা উত্থাপন করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের সাতটি রাজ্যে এলপিজি গ্যাস যাবে। যার ফলে বাংলাদেশের প্রচুর আয় হবে। অন্যদিকে চুক্তি হয়েছে ভারত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করবে। যার ফলে ভারত থেকে প্রচুর আয় হবে। তাই ভারত সফর থেকে কিছুই পাইনি এমন কথায় কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। আমরা শুধু দিয়ে আসিনি, ভারতের কাছ থেকে নিয়েও এসেছি। তিস্তা পানি চুক্তির ব্যাপারেও অগ্রগতি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের কথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মীমাংসা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে বিষয়গুলোর সমাধান হয়নি, ভবিষ্যতে সেইগুলোর সমাধান হবে। আপনারা প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ কারো কাছে বিকিয়ে দিয়ে বন্ধুত্ব করবেন না। সব সময় বাংলাদেশের স্বার্থকে ঊর্দ্ধে রেখেই সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় শুভেচ্ছা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর যেই অধিকার, সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও সেই একই অধিকার পায়। এসময় তিনি পূজামণ্ডপের পাশে দাঁড়িয়ে মণ্ডপ পাহারা দিতে মুসলমান ধর্মের ভাইদেরকে আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির আলোচনা শেষে তিনি শারদীয় পূজার সংকলন ত্রিনয়নী উদ্বোধন করেন। এর আগে খামারবাড়ি পূজামণ্ডপে উপস্থিত হলে ওবায়দুল কাদেরকে ফুলের শুভেচ্ছা এবং উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।

কালের আলো/এনএম/এমআর

Print Friendly, PDF & Email