পর্যটন খাতের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর

প্রকাশিতঃ 5:39 pm | September 27, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

পর্যটন খাতের উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে পর্যটনের সম্ভাবনা আছে, সবাই মিলে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য সরকারের পদক্ষেপ থেমে নেই। আর পর্যটন কেন্দ্রের পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সকলকে মনোযোগী হতে হবে।

তিনি বলেন, বেড়ানোর অভ্যাস আমাদের আগে থেকে ছিল না। আমাদের হলি ডে মানে স্কুল ছুটিতে মামার বাড়ি যাওয়া। পর্যটনের প্রসারে প্রয়োজন পর্যটন পণ্যের সঠিক ব্র্যান্ডিং। পর্যটন পণ্যের সঠিক ব্র্যান্ডিং করতে পারলে পর্যটক আসবেই।

নারীবান্ধব পর্যটন প্রসঙ্গে মাহবুব আলী বলেন, একাত্তরে সময় আমাদের মেয়েরা ট্রাকে ট্রাকে করে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে উৎসাহিত করেছে। তখন কিন্তু প্রশ্ন উঠে নাই মেয়েরা কেন এভাবে ঘুরছে। কিন্তু আজকে ৪৫ বছর পরে কেন আমাদের এ অবস্থা। আজকে কেন প্রশ্ন আসবে— একটা মেয়ে পর্যটনকে উপভোগ করার জন্য হোটেলে যায়। মেয়ে হিসেবে তাকে নাকি সিট (রুম ভাড়া) দেওয়া হয় না। কক্সবাজার কেন সারা বাংলাদেশে এ ধরনের কোনও প্রতিবন্ধকতা অ্যালাউ করা হবে না। আমরা যে মূল্যবোধ অর্জন করেছি, তা ধরে রাখতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অগ্রসর হচ্ছি। কমিউনিটি বেজ ট্যুরিজমের জন্য আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। পর্যটকবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। বিভাগীয় শহরগুলোতে পর্যটন বোর্ডের অফিস চালু করা হবে।

ধর্মভিত্তিক পর্যটনের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে মাহবুব আলী বলেন, বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। লাখ লাখ লোকের সমাগম হয়, সেখানে খুবই সুশৃঙ্খলভাবে মানুষজন অংশ নেয়। অনেক বিদেশিও আসেন। এটাকে কেন্দ্র করে বড় ধরণেনের পর্যটনের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। আমাদের এখানে মাজার, মন্দিরও রয়েছে। কিন্তু আমরা এসবের জানান দিতে সক্ষম হইনি এত দিন।

মাহবুব আলী বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি উৎসবের নিজস্ব রঙ এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আমাদের উৎসবগুলোর মতো এত রঙিন উৎসব পৃথিবীর আর কোথাও পালিত হয় না। আমাদের উৎসবগুলো ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সর্বজনীন। আমাদের প্রত্যেকটি উৎসবে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যে কোনও দেশের জন্য আদর্শ। আমাদের দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যে প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ আছে, অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে— তা সঠিকভাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে।

এর আগে তিনি বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সাইকেল র‌্যালিতে অংশ নেন। শতাধিক সাইক্লিস্ট শুক্রবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয় এ র‌্যালি এবং মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মো. হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডর সিইও ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম, টোয়াবের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাফিউজ্জামান, ট্রিয়াবের সভাপতি খবির উদ্দিন, আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এন/এমআরএ

Print Friendly, PDF & Email