অভিযুক্ত ভিসিদের অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত হলে অপসারণ

প্রকাশিতঃ 5:47 pm | September 24, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

১৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বিতর্কিত কার্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলছে, জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন যাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের স্বপদ থেকে অপসারণসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার(২৪ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সংকট নিয়ে উপমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন।

বিভিন্ন ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা ভিসিদের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে।

বিভিন্ন সময় পাওয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে দেশের ১৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে প্রতিবেদন তৈরি করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ভিসিদের অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত চলছে, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের স্বপদ থেকে অপসারণসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

ইউজিসি থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠালেও কারও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না- এমন প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের আমলে কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এমন রেকর্ড নেই। অন্যায় যেই করবে তাকে শাস্তি পেতে হবে।’

উপমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় পুলিশ কেস হলে পুলিশের প্রতিবেদন সংগ্রহ করে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয়। ফলে কিছুটা দেরি হয়ে থাকে।’

বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কাদের নির্দেশে ইউজিসি তদন্ত কাজ শুরু করেছে খোঁজ নিয়ে দেখুন, আমরা নির্দেশ দিয়েছি বলেই ইউজিসি তদন্ত শুরু করেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাই কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে, কিছু তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত কাজ শুরু করতে হয়। তাতে অপরাধ প্রমাণিত হলে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

‘‘গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিশেষভাবে নজরদারি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি করতে ইউজিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে, সেগুলোর বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে। সেখানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তোলা অভিযোগ খতিয়ে দেখে অপরাধের সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

কালের আলো/বিএআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email