ক্যাসিনোতে অভিযানকে স্বাগত জানালেন সেনাপ্রধান

প্রকাশিতঃ 2:20 pm | September 24, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাফল্য ম্লানকারী দুর্নীতিবাজদের শায়েস্তা করে সুশাসন নিশ্চিত করার পথে হাঁটছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে তিনি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত রেখেছেন।

আরও পড়ুন: দুর্নীতির মুলোৎপাটনে ‘অটল’ প্রধানমন্ত্রী, অব্যাহত অভিযানেই টেকসই সমাধান

আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী এ সাহসী সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

তিনি চলমান এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে সুস্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘এ অভিযান মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের বহি:প্রকাশ।’

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সাভার সেনানিবাসের মিলিটারি ফার্মের অত্যাধুনিক মিল্কিং পার্লারের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধীর শক্তিশালী পদক্ষেপ দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশংসিত হচ্ছে। মুজিব কন্যা দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণে সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকে সময়োপযোগী এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এতে করে অবৈধভাবে পরিচালিত ক্যাসিনো ও ক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় পরিচালিত রমরমা বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের রাঘব বোয়াল অনেক নেতাও গ্রেপ্তার হয়েছেন। অনেকে রয়েছেন পাইপ লাইনে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক ব্যবসায়ীদের মতো দুর্নীতির বিরুদ্ধে এ ঐতিহাসিক যুদ্ধের দৌলতে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করবেন এমন মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও মাদকের চক্রকে ভেঙে দিতে আচমকা শুরু হওয়া এ অভিযান সব প্রভাবশালীদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। যারা এতদিন দুর্নীতি করেছেন তারা এই বিশেষ পরিস্থিতিতে আর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন না। এমন অভিযানে সরকার প্রধান শেখ হাসিনার ভাবমূর্তি আরও উজ্জল হচ্ছে।

স্বয়ং দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ নিজেও অবৈধ ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চলমান এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘জাতিসংঘে যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, তা অত্যন্ত পজেটিভ।’

চলমান এ অভিযান অব্যাহত রাখার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ঠিকঠাক মতো এই অভিযান চললে অনেক অপরাধ কমে আসবে।’

যারা এতদিন সেনাবাহিনীর নাম ভাঙিয়ে-এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সেনাপ্রধান।

তিনি বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীর নাম ভাঙিয়ে সৈনিক ক্লাব কিংবা রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস ক্লাবের নামে যারা এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে এ ব্যাপারে আরও খোঁজ-খবর নিতে বলা হয়েছে। আমি নিশ্চিত করে বলছি, এ বিষয়ে আমাদের যা করণীয় আমরা তা করব।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল(কিউএমসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল শামসুল হক, মাস্টার জেনারেল অফ অর্ডন্যান্স মেজর জেনারেল আবু সাঈদ সিদ্দিক, নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সাভার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আকবর হোসেন প্রমূখ।

সাভার সেনানিবাসের মিলিটারি ফার্মের অত্যাধুনিক মিল্কিং পার্লারের মাধ্যমে সময় ও শ্রম সাশ্রয় হবে বলেও জানান সেনাপ্রধান।

তিনি জানান, আয়ারল্যান্ডের প্রযুক্তিতে সরকারি পর্যায়ে স্থাপিত প্রথম মিল্কিং পার্লার থেকে জীবাণুমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রতি ১৫ মিনিটে একসঙ্গে ২০টি গাভী থেকে দুধ সংগ্রহ করা হবে।

কালের আলো/এনএল/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email