মাঠ ব্যবস্থার উন্নতির দিকে মনোযোগ মেয়র আতিকের, হচ্ছে ২৪ টি পার্ক

প্রকাশিতঃ 9:47 pm | September 21, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

খেলার মাঠের জন্য হাহাকার। রাজধানীর শিশু-কিশোরদের চার দেয়ালে বন্দি জীবন। খেলার মাঠের সঙ্কটে মাদকে আসক্ত হচ্ছে তরুণরা। একই সঙ্গে শারীরিকভাবে সুস্থ ও মেধা বিকাশে মনোযোগী হওয়া হচ্ছে না।

এসব বিষয়াদি সবিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েই শিশু-কিশোর আর তরুণ প্রজন্মকে খেলাধূলার সুযোগ তৈরি করে দিতে এবার মাঠ ব্যবস্থার উন্নতির দিকে মনোযোগ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ইট, কাঠ আর পাথরের নগরী হিসেবে পরিচিত রাজধানীতে সুস্থ পরিবেশে বেঁচে থাকার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে মাঠ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আরও একধাপ এগিয়ে গেছেন উত্তরের এ নগর পিতা। তিনি বিশ্বাস করেন, নুন্যতম মাঠ থাকলে এখানকার শিশু-কিশোরদের শৈশব লাপাত্তা হবে না।

শিশু-কিশোরদের মানসিক-শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি সুস্থ বিনোদনের সুব্যবস্থা হবে। তাঁরা মেতে উঠবে শৈশবের দুরন্তপনায়। বিপথগামী হবে না প্রজন্ম। নির্ভার হয়ে হাঁটতে পারবেন মহিলা-বয়স্করা। বন্ধ হবে পাড়া-মহল্লার ছোটখাটো অপরাধ। কমে আসবে নানা ধরণের সামাজিক সমস্যাও।

অবশ্য এমন ভাবনা আর পরিকল্পনার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে এবার প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের এ উত্তরসূরী রাজধানীর শিশু-কিশোরদের প্রাণোচ্ছ্বল শৈশবের হুমকি হয়ে উঠা এমন সমস্যার কার্যকর সমাধানের পথে হাঁটছেন।

উত্তরের বেদখলে থাকা পার্কসমূহকে দখলমুক্ত করা এবং নতুন পার্ক নির্মাণ করছেন তিনি। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর পার্কের উদ্বোধন করেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। স্থপতি শাহজাবিন কবিরের ডিজাইনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স এস এম রহমান ইন্টারন্যাশনাল’ পার্কটির উন্নয়ন কাজ শেষ করে।

এ পার্ক উদ্বোধনকালে সুসংবাদ দিয়ে নগর পিতা বলেছেন ‘শিশু, মহিলা, বয়স্কসহ সর্বস্তরের মানুষের জন্য এ পার্ক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলো। এরকম ২৪টি পার্ক পর্যায়ক্রমে উদ্বোধন করা হবে। পার্ক থাকবে, একই সাথে খেলার ব্যবস্থা করা হবে। পার্কে বিদ্যুৎ বাতি লাগিয়ে দিচ্ছি।

খেলাধুলা করার জন্য যাতে ব্যবহার করা যায়। এ পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব স্থানীয় কমিউনিটিসহ উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতিকে নিতে হবে। প্রত্যেকটি পার্কে সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২.৪৫৯ একর আয়তনের এ পার্কটি সংস্কারে ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এ পার্কটিতে বয়সীদের জন্য বিনোদন ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত বসার স্থান, প্রায় ৭৫০ মিটার ওয়াকওয়ে, শিশুদের জন্য একটি স্লিপার, ২টি দোলনাসহ ছোট পরিসরে ক্রিকেট খেলার স্থান, সম্পূর্ণ আলাদা বাইসাইকেল দেন, রাতের বেলা নিরাপদে হাঁটার জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, পার্কের অভ্যন্তরে একটি উন্নতমানের পাবলিক টয়লেট, দৃষ্টিনন্দন গেটসহ চারপাশে বাউন্ডারি গ্রিল ,পরিকল্পিতভাবে প্রায় ১০০ প্রজাতির বৃক্ষের মাধ্যমে সবুজায়ন করা হবে।

এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন, প্রকল্প পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েই আতিকুল ইসলাম নিজের প্রথম আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিন ধাপে ভাগ করে ঢাকার আধুনিকায়নের কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

সেদিন তিনি বলেছিলেন, উন্মুক্ত পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরির মাধ্যমে সবুজ ঢাকা গড়ে তোলা হবে।

কালের আলো/এসআর/এএ

Print Friendly, PDF & Email