ডিসিদের থানায় বসতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ

প্রকাশিতঃ 9:14 am | September 18, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

থানার কাজে গতি আনা, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং মানুষের সেবাপ্রাপ্তির সুবিধার জন্য ডিএমপি কমিশনারের ঘোষণা মতো রাজধানীর থানাগুলোতে বসতে শুরু করেছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বুধবার(১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দেখা যায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে থানার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার কর্মকর্তারা।

এর আগে থানা পুলিশের হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে উপ-পুলিশ কমিশনারদের থানায় বসার নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এক নির্দেশনায় (চিঠি) ঢাকা মেট্রোপলিটনের অপরাধ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারদের (ডিসি) এ নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিসি বলেন, থানায় হয়রানি এড়াতে সপ্তাহে ২-৩ ঘণ্টা আমাদের নিজস্ব বিভাগের থানাগুলোতে সময় দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। আমরা আগামীকাল সকাল থেকে থানাগুলোতে বসব আর থানার কার্যক্রম মনিটরিং করব।

ডিএমপি কমিশনার তার অফিস নির্দেশনায় উল্লেখ করেছেন, প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায় যে, নিরীহ অসহায় জনসাধারণের একটা বিরাট অংশ থানায় তার প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমলযোগ্য অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ আমলে না নেওয়া, অনাকাঙ্ক্ষিত কালক্ষেপণ করা হয়। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণসহ অনেক সময় অযথা হয়রানিমূলক আচরণের মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগও পাওয়া যায়। তাই থানায় সেবার মান বৃদ্ধি ও সেবাপ্রত্যাশীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে ব্যাপারে ওসিরা কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন। পাশপাশি জোনাল এসি ও এডিসিরা সার্বক্ষণিক থানার কার্যক্রম মনিটরিং করবেন।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ডিসিরা তার আওতাভুক্ত প্রতিটি থানায় প্রতি সপ্তাহে অবস্থানের জন্য পরিকল্পনা করবেন। সে অনুযায়ী থানায় কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা অবস্থান করে থানার বাস্তব কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে সরাসরি আইন অনুযায়ী সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।

এ বিষয়ে গতকাল রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে এমন নির্দেশনা পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট জোনে মনিটরিং কাজ শুরু করেছি।

কালের আলো/বিআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email