বিএনপির সময়ে বিমানের অবস্থা ছিল মুড়ির টিনের মতো : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 7:11 pm | September 17, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বিএনপির সময়ে বিমানের অবস্থা মুড়ির টিনের মতো ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ওই সময় আমি বিরোধী দলে ছিলাম। খুব বেশি করার ক্ষমতা আমার ছিল না। বিদেশ যাওয়ার সময় বিমান ব্যবহার করতাম। তখন দেখতাম বিমানগুলো ছিল ঝরঝরা। ছাদ ফুটো ছিল, পানি পড়ত। টিস্যু গুঁজে দিয়ে পানি পড়া থামানো হতো। এখন সেই অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।

তিনি বলেন, আগে ঢাকায় একধরনের ঝরঝরা বাস চলত। আমরা এই বাসগুলোকে বলতাম মুড়ির টিন। তখন বিমানের অবস্থা ছিল এই মুড়ির টিনের মতো।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশের চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আর বিমানের আগের অবস্থা নেই। এখন বিমানে উঠলে গর্বে বুক ভরে যায়। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে পাঁচবছর ছিলাম। বিমানের উন্নয়নে তখন বুক বেশি কিছু করতে পারিনি। কারণ টাকা-পয়সার ব্যাপার ছিল। এখন আমাদের যে রিজার্ভ আছে সেখান থেকে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আরও দুটি উন্নতমানের বিমান কিনতে পারব। আমাদের সেই পরিকল্পনা আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর বহু দেশ দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও তাদের মূল্যস্ফীতি বেশি। আমরা প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি ধরে রাখতে পেরেছি। প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগসহ আমাদের অনেক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তারপরও আমরা আমাদের দেশে চমৎকার একটা পরিবেশ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

বিমানের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সাড়ে তিনবছর মাত্র সময় পেয়েছিলেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে গুছিয়ে আনতে শুরু করেছিলেন। আজকে বিমানের যে লোগো সেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জয়নুল আবেদীনসহ শিল্পীদের নিয়ে কমিটি করে দিয়েছিলেন। সেখানেই লোগো চূড়ান্ত করা হয়। মাঝে মাঝে আমি অবাক হয়ে যাই, এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে এক অগ্রগতি অর্জন করলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, আজকে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। বৈদেশিক মুদ্রার পর্যাপ্ত রিজার্ভ আমাদের আছে। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সর্বাত্ম চেষ্টা চালাচ্ছি।

ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী ড্রিমলাইনার রাজহংসের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরপর তিনি কেক কাটেন।

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে ফিতা কেটে রাজহংসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে বিমানের বহরে সংযুক্ত হলো ড্রিমলাইনারটি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী, সচিব মহিবুল হক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদ্য নিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন।

কালের আলো/বিএআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email