মা বললেন, তোর স্বপ্ন স্বার্থক হয়েছে : লেখক ভট্টাচার্য

প্রকাশিতঃ 10:09 am | September 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অসামান্য অবদান রয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির নেতৃত্বে এসেছেন লেখক ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন: জয় ও লেখক ভট্টাচার্যের কাছে সাবেক তিন কমিটির নেতাদের প্রত্যাশা

বেপরোয়া চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে অপসারিত শোভন-রাব্বানীর কমিটির এ জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। বাবার বুকে মাথা রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা শুনেছেন। বাবার অনুপ্রেরণাতেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছে সেই কবেই।

কিন্তু নিজের স্নেহময় বাবা সন্তানের এমন সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। হারিয়ে গেছেন চিরদিনের জন্য দূর আকাশে। মা শিপ্রা ভট্টাচার্যই (৬০) বাবার আদরে বুকের মানিককে গড়ে তুলেছেন। বাবা শব্দটির মতোই লেখকের মাথার উপর নির্ভরতার ছাদ মা সন্তানের এমন বিশাল সম্মানে যারপরেনাই আপ্লুত। কেঁদেছেন আনন্দে। এ অশ্রু যেন তাঁর পরম আনন্দের।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগে পক্ষ থাকবে না, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবো, বললেন লেখক ভট্টাচার্য

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতেই কথা হয়েছে মা-ছেলের। সন্তানের সুসংবাদে উচ্ছ্বসিত মায়ের উক্তি ‘তুই আবার নেতা হলি। তোর জীবনের স্বপ্ন স্বার্থক হয়েছে।’ বলতে বলতেই ভারী হয়ে উঠে কন্ঠস্বর। তাঁরপর কান্না-আশীর্বাদ এবং মমতাময়ী নেত্রী, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কালের আলো’র সঙ্গে আলাপে ঠিক এভাবেই বলছিলেন লেখক ভট্টাচার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগে স্নাতকোত্তর করা মেধাবী এ শিক্ষার্থীর বাড়ি যশোরে। তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ বিভাগে (২০০৮-০৯ সেশনে) ভর্তি হন।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের নবযাত্রা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার জয়ের

যশোরের মনিরামপুরের এ সন্তান ওই এলাকার সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের ভাতিজা। শোভন-রাব্বানীর কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও জগন্নাথ হল শাখার বিগত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী আল নাহিয়ান খান জয়ের সঙ্গে গভীর হৃদ্যতা রয়েছে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের। জয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগ থেকে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স করছেন। তার দাদা মোশাররফ হোসেন খান ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। বাবা আবদুল আলীম খান ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।

নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সম্পর্কের রসায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে লেখক ভট্টাচার্য কালের আলোকে বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত সভাপতির সাথে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো। সে আর আমি একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর আর আমার ডিপার্টমেন্ট আলাদা ঠিকই তবে প্রথম বর্ষ থেকেই আমাদের পরিচয়। আমরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।’

কালের আলো/এসআর/এমএএএমকে

Print Friendly, PDF & Email