তুরস্ককে ঠেকাতে দুই বছর অাগেই গোপন বৈঠক করেছিল অারবরা!

প্রকাশিতঃ 3:53 am | March 23, 2018

::সোহেল রানা::

লেবানিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ী জর্জ নাদের ২০১৫ সালের শেষ দিকে বেশকিছু অারব নেতাকে নিয়ে লোহিত সাগরে একটি প্রমোদতরীতে গোপন বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকে অংশ নেয়া অারব নেতাদের উদ্দেশ্যে নাদের বলেছিলেন,অারবদের উচিৎ জিসিসি ও অারবলীগের বিকল্প হিসেবে ছয় জাতির একটা অাঞ্চলিক জোট গঠন করা। এই মৈত্রী জোট এ অঞ্চলে একটা শক্তি হিসেবে অাবির্ভূত হতে পারে যাতে তুরস্ক ও ইরানের প্রভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র এই জোটকে ব্যবহার করতে পারে।

ঐ গোপন বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সৌদি অারবের তৎকালীন ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, সংযুক্ত অারব অামিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন জায়েদ অাল নাহিয়ান, মিসরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল অাবদেল ফাত্তাহ অাল সিসি, বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স সালমান বিন হামাদ এবং জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় অাব্দুল্লাহ। বৈঠকে লিবিয়ার কেউ যোগ না দিলেও এই ছয়টি দেশ নিয়ে একটি মার্কিন ও ইসরায়েলপন্থী জোট করার বিষয়ে অালোচনা হয়।

নাদের অারব নেতাদের প্রস্তাব দিয়েছিল তারা যদি এই প্রস্তাবে সম্মত হন তাহলে তিনি জোটের অাত্মপ্রকাশে ওয়াশিংটনের কাছে লবিং করবেন। অারব নেতারা তাতে সম্মত হয়েছিলেন। এই নাদের ইরানের বিপ্লবী রেভ্যুলুশনারি গার্ডের সাথে যোগাযোগ রাখছেন বলেও তথ্য ফাঁস হয়েছে। ইরাকি শিয়া নেতা অাম্মার অাল হাকিম ও তার অনুগতদের সহায়তায় নাদের এই সম্পর্ক স্থাপন করেন।

অারব নেতারা ইরানের পরমানু চুক্তির বিষয়ে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের উপর ভরসা রাখতে পারছিলেন না। তাই ২০১৫ সালের শেষ দিকে তারা ট্রাম্পের মত এমন একজন লোককে খুঁজছিলেন যার উপর ভর করে এ অঞ্চলে নতুন শক্তি হিসেবে অাবির্ভূত হতে পারেন তারা। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে জর্ডানের বাদশাহ মার্কিন কংগ্রেস নেতাদের বলেন, তুরস্ক এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ।

রুদ্ধদ্বার ঐ বৈঠকে বাদশাহ দ্বিতীয় অাব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, তুরস্ক ইউরোপে সন্ত্রাসীদের পাঠাচ্ছে। পরে অবশ্য তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন। লোহিত সাগরে প্রমোদ তৈরিতে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল পরে তা থেকেও সরে যায় জর্ডান। জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘে ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করে সৌদি অারবের সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে দেশটির। তথ্যসূত্রঃ মিডল ইস্ট অাই

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

কালের আলো/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email