খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশিতঃ 6:32 pm | July 31, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার(৩১ জুলাই) দুপুরের পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি করে এই আদেশ দেন।

একই বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি শেষে আজ বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন। আজ দুপুর ২টার পর রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করে।

আদালতে গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানি করেন। এ সময় বিএনপির অপর আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।

দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের শুনানির কথা থাকলেও তিনি সময় চেয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি গুরুতর অসুস্থ। মামলার বাদী এজাহারে খালেদা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ করেছেন—এ ধরনের কোনো কথা উল্লেখ করেননি। অথচ অভিযোগ গঠনের সময় তদন্ত কর্মকর্তা মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ গঠন করিয়েছেন। মামলার এজাহারে যদি অভিযোগ না থাকে, তাহলে দণ্ড দেওয়া যায় না। এরপরও তাঁকে এ মামলায় দুদক আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মানবিক বিবেচনায় তাঁকে যেন জামিন দেওয়া হয়।’

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জামিনের বিরোধিতা করেন। দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ মামলায় খালেদা জিয়ার তিন আইনজীবী ও দুদকের আইনজীবী শুনানি করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। এ কারণে আদালত আজ বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত জামিন শুনানি মুলতবি করেন।

আদালত এর আগে নথি তলব করেছিলেন। নথি আসার পর আদালত জামিন শুনানির জন্য ৩০ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছেন।

গত ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার নথি বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আসে।

গত ৩০ এপ্রিল আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের এ বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া বিচারিক আদালতের রায়ের নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান। রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। এই মামলায় অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া আপিল করলে ৩০ এপ্রিল তা শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করেন হাইকোর্ট। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। বর্তমানে তিনি কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন।

কালের আলো/এএম/আরএইচ

Print Friendly, PDF & Email