পানির নিচে দেড় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিতঃ 11:01 am | July 16, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে গতকাল সোমবারও দেশের ১২ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। অন্যদিকে, বৃষ্টিপাত কমে আসায় ৬ জেলায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আর পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে একটি জেলায়। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, সুরমা, কুশিয়ারা, মনু ও ধলাইসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অধিকাংশ নদনদীর পানি গতকাল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দুর্ভোগ, বাড়ছে রোগব্যাধি।

প্লাবিত এলাকাগুলোয় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে লেখাপড়া; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও। বন্যাকবলিত ১৪ জেলা থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, পাঠদান বন্ধ রয়েছে ১ হাজার ৬৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এর পরও সার্বিক বিবেচনায় বন্যাকবলিত মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।

বন্যাকবলিত ও দুর্যোগপূর্ণ এলাকাগুলোতে জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজসমূহ সার্বক্ষণিক খোলা রেখে সেগুলোয় বন্যার্তদের আশ্রয় নিশ্চিত করতে শিক্ষা বিভাগের মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন, ব্যাহত হওয়া লেখাপড়া কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া যায়। এ ছাড়া বন্যা সরে যাওয়ার পর মাঠপর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে নিরূপণ করা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা।

এ প্রসঙ্গে গতকাল মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মানুষের খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসার মতো ব্যাহত হচ্ছে লেখাপড়াও। এর পরও দুর্গত মানুষের বাসের স্থান দেওয়াই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

স্কুলগুলোয় যেন দুর্গতরা বন্যার পানি না নামা পর্যন্ত আশ্রয় নিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পানি সরে যাওয়ার পর পাঠদানের উপযোগী করা হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বন্যাপরবর্তী সময়ে মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করা হবে।

তিনি বলেন, মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিস, মাধ্যমিক স্কুলপ্রধান, কলেজপ্রধানের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ এলাকাসমূহের সকল সরকারি-বেসরকরি স্কুল কলেজসমূহ খোলা রেখে বনার্তদের দেখভাল করতে হবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে সার্বক্ষণিক অবস্থানপূর্বক সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এএফএম মনজুর কাদির বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্যার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে। কতদিন পানি থাকবে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। পানি সরে যাওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে, বন্যায় লেখাপড়ার যে ক্ষতি হয়েছে, কীভাবে তা পুষিয়ে নেওয়া যায়।

চট্টগ্রাম : অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে চট্টগ্রামে ৪১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ছিল। সবচেয়ে বেশি বিদ্যালয় বন্ধ ছিল রাউজান ও সাতকানিয়া উপজেলায়।

নেত্রকোনা : প্রতিদিন জেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। কংশ, সোমেশ্বরী ও উব্দাখালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, বারহাট্টা, পূর্বধলা ও সদরের ২৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাঠদান বন্ধ আছে দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

সুনামগঞ্জ : জেলার ১১ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেছেন, মোট ৩৭৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ১১৯টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত রয়েছে। সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি গতকাল বিকাল ৩টায় বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

সিলেট : সুরমা নদীর পানি কমতে থাকায় সদর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলা। জেলার অন্তত ২৫টি ইউনিয়নের মানুষ এখনো পানিবন্দি।

অন্যদিকে শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাময়িক পাঠদান বন্ধ আছে। বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক থেকে পানি সরে গেলেও ভাঙনের কারণে বিপত্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ওসমানীনগরের ২৮টি বিদ্যালয় তলিয়ে গেছে। বালুর বস্তা ফেলে কুশিয়ারার ডাইক রক্ষার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

বগুড়া : সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার কালিতলা পয়েন্টে যমুনার পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়ে গতকাল বিকাল ৩টায় বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পাশের বাঙালি নদীতেও ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ২২ সেন্টিমিটার। জেলার ৪৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪টি উচ্চবিদ্যালয় ও ৪টি মাদ্রাসা মিলিয়ে ৫৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

জামালপুর : বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গতকাল বিকালে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৪২ সেন্টিমিটার। ইসলামপুর উপজেলার ৭ ইউনিয়নের প্রায় ৯০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। বন্ধ হয়ে গেছে ৮৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কথা জানান। বকশীগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

হবিগঞ্জ : কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নবীগঞ্জ উপজেলার ৩ ইউনিয়ন আক্রান্ত হয়েছে। ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বেলা ২টায় খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ১৪০ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

গাইবান্ধা : ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। ২৫ ইউনিয়নের ১৩৫টি গ্রাম বন্যাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। চার উপজেলায় ৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। জেলায় ১১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০টি স্কুল-মাদ্রাসায় পাঠদান স্থগিত করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়ে গতকাল দুপুরে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে আগামী তিন দিন, জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে নদী তীরবর্তী ৫ উপজেলার প্রায় ২০ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার ২৪টি স্কুলের পাঠ দান বন্ধ রাখা হয়েছে।

মৌলভীবাজার : কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে সদর উপজেলার হামোরকোনা এলাকায় রাস্তা ভেঙে এবং ব্রাহ্মণগ্রামে সড়কের ওপর দিয়ে পানি উপচে ৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে উজানের ঢল ও অতিবৃষ্টিতে মনুসহ জেলার সব নদীর পানি বেড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গতকাল সকালে মনু নদীর পানি চাঁদনী ঘাট এলাকায় বিপদসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার পানি শেরপুরের হামরকোনা এলাকায় ৫২ সেন্টিমিটার এবং ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

কুড়িগ্রাম : ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৫৫ ইউনিয়নের ৩৯০টি গ্রাম তলিয়ে গেছে। বন্ধ আছে ২৮৪টি স্কুল।

গতকাল দুপুরে কুড়িগ্রামে ধরলার পানি বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার, কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়ায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার ও চিলমারীতে ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : আখাউড়া উপজেলার হাওড়া নদীর বাঁধের অন্তত ৩০ ফুট গতকাল সোমবার ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়।

দিনাজপুর : দিনাজপুরের পুনর্ভবা, আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে। যে কোনো সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

কক্সবাজার : চকরিয়া-পেকুয়ায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পথে। গত দুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমে ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষতচিহ্ন। এখনো বন্ধ রয়েছে ১৬০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

রাঙামাটি : উজানের উপজেলা বাঘাইছড়ি, লংগদু ও নানিয়ারচরের নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। তবে বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই উপজেলা ও রাঙামাটি জেলা সদরে নতুন করে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা।

লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের দোয়ানী পয়েন্টে গতকাল সোমবার তিস্তা নদীর পানি কমে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্ধ আছে জেলার মাধ্যমকি ও প্রাথমিক ৫৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

নীলফামারী : ডালিয়া পয়েন্টে গতকাল বিকাল ৩টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫২.৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গতকাল পর্যন্ত ডিমলা উপজেলার ৩৬ গ্রাম এবং জলঢাকা উপজেলার ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডিমলায় ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

টাঙ্গাইল : যমুনা নদীর পানি টাঙ্গাইল অংশে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে গতকাল প্রবাহিত হয়। পাশাপাশি গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর উপজেলায় ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টির পানিতে টাঙ্গাইল সদরের সাবালিয়া আদর্শ ও বন্যার কারণে ভূঞাপুরের শশুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

শেরপুর : ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার অন্তত ৮০টি গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি আছে। চেল্লাখালী ও ভোগাই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

রংপুর : তিস্তার পানি বেড়ে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার ৫০ গ্রাম তলিয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে চরাঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা। বন্ধ রয়েছে ৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

বান্দরবান : বন্যার পানি কমলেও জনসাধারণের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। কাদার কারণে বাড়ি ফিরতে পারছে না আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষজন। গতকাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল জেলার দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

কালের আলো/এআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email