দ্বিতীয় দফা পরীক্ষায়ও দুধে মিললো অ্যান্টিবায়োটিক

প্রকাশিতঃ 4:03 pm | July 13, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দুধের ১০টি নমুনা নিয়ে দ্বিতীয় দফা পরীক্ষা চালিয়ে সবকটিতেই অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের সাবেক পরিচালক ড. আ ব ম ফারুক।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথম দফায় দুধের নমুনা পরীক্ষা করে তিনটি অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গিয়েছিল। এবার চারটি পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে পরীক্ষাটি পুনরায় করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এবারও আগের ৫টি কোম্পানির ৭টি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের নমুনা এবং খোলা দুধের ৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১০টি নমুনাতেই উদ্বেগজনক মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে।

অ্যান্টিবায়োটিকের সংখ্যা ছিল চারটি। এগুলো হলো, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং লেভোফ্লক্সাসিন। এর মধ্যে আগেরবার ছিল না এমন অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দু’টি। তা হচ্ছে, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন। ১০টি নমুনার মধ্যে তিনটিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে চারটি। ছয়টিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে তিনটি এবং একটিতে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে দু’টি।

এর আগে গত ২৫ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ফার্মেসি লেকচার থিয়েটারে দুধ ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য পরীক্ষার প্রথম দফার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছিল। এর মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় দুধের ভেজাল নিয়ে গবেষণা প্রকাশ করা হলো।

বায়োমেডিক্যালের বিজ্ঞপ্তিতে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, আমরা ভবিষ্যতেও এই পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর ফলাফল জনস্বার্থে প্রকাশ করার চেষ্টা করব। জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক এই সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার পরিবর্তে বিশেষ কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে আর বিদেশি চক্রান্ত খুঁজতে হবে না।

কালের আলো/এনএ/এমআর

Print Friendly, PDF & Email