১০ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার শঙ্কা

প্রকাশিতঃ 3:48 pm | July 12, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দেশের ১০ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, আগামী কয়েক দিন ভারি বর্ষণ হতে পারে। ফলে এসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

শুক্রবার১২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা, সিলেট, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, শেরপুরসহ ১০ জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ ১০ জেলায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জরুরিভাবে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে।

শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। সুষ্ঠুভাবে জেলা প্রশাসকদের দায়িত্বে ত্রাণ বিতরণ হবে। মাঠ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা সহযোগিতা করবেন। ওই সব জেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাঁদের সার্বক্ষণিক জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

এনামুর রহমান আরো বলেন, ‘আমাদের পক্ষে বন্যা মোকাবিলা আদৌ সম্ভব নয়। আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে বন্যা ও আপৎকালীন বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের দুর্ভোগ ও কষ্ট লাঘবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কিছু সহযোগিতা করতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও এটিই।’ তিনি বলেন, “এর আগে আমরা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘ফনী’ যখন আঘাত হেনেছিল, ওই সময়ও আমরা একই কর্মপদ্ধতি অবলম্বন করে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম।”

এর আগে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামাল, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বন্যা মোকাবিলায় তাঁদের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাই সব ধরনের তথ্য আগাম দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হার কমিয়ে আনতে সহযোগিতা করতে পারেন।’

কালের আলো/এনএল/এমএম

Print Friendly, PDF & Email