ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনা, যা বললেন ফারুকী
প্রকাশিতঃ 11:30 am | July 07, 2019
কালের আলো ডেস্ক:
এবার আকাশছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল টিম-টাইগার্স। টার্গেট ছিল ন্যূনতম সেমিফাইনালে খেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে দুর্দান্ত শুরুও হয়েছিল। কিন্তু বিদায়টা হলো বিষাদময়।
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের ব্যবচ্ছেদ করলে বেশকিছু বিষয় সামনে চলে আসে- একমাত্র সাকিব আল হাসান ছাড়া বাকি সিনিয়র ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকতার অভাব, তরুণদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি এবং যাচ্ছেতাই ফিল্ডিং ও বোলিং। ব্যাটিং নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
ব্যাটসম্যানরা তাদের সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিয়েই খেলেছেন। কিন্তু ফিল্ডার ও বোলাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ক্রিকেটে প্রবাদ আছে, ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস! কিন্তু বাংলাদেশ দল এবার প্রতিটি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ মিস করেছে। বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে অনেক রান হয়েছে।
বোলাররাও নিজেদেরকে মেলে ধরতে পারেননি। সে কারণেই সেমিফাইনালের আগে বিদায় নিতে হয়েছে টাইগারদের।
এসব কারনেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সাকিব বন্ধনার পাশাপাশি চলছে অন্যান্য ক্রিকেটার সমালোচনা। যা নিয়ে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
কালের আলো’র পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো- ‘আমাদের বোধ হয় একটা নায়ক যেমন লাগে, ভিলেনও লাগে। ভিলেন একটার জায়গায় দশটা হলে আরো ভালো। বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের অনলাইন প্রতিক্রিয়া দেখে এটা মনে হলো।
অতি অবশ্যই কোনো রকম প্রশ্ন ছাড়াই, সাকিব আল হাসান শুধু বাংলাদেশ না, এবারের বিশ্বকাপেরই নায়ক। তার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পারফরম্যান্স বহু বছর ক্রিকেট প্রেমিরা মনে রাখবে। আমরা যারা তথাকথিত “বেয়াদব” সাকিবের গুণমুগ্ধ শুধু তারা না, পুরো বাংলাদেশ তাকে নিয়ে গর্বিত। ক্রিকেট বিশ্বের বড় তারকারা পর্যন্ত তাকে নিয়ে লিখছে। শোয়েব আখতারের লেখাটাও পড়লাম। সাকিব যা পাচ্ছে, সেটা তার প্রাপ্যই।
কিন্তু তাকে বড় করতে গিয়ে বাকি দশ জনকে যেভাবে হেয় করছে কেউ কেউ, এটা দেখে তো মনে হয় আর কেউ ক্রিকেটার হতে চাইবে না। কেউ বলছে বাকি দশ জন অপদার্থ, কেউ বলছে ওদের উচিত সাকিবের কাছে মাফ চাওয়া, আর কেউ কেউ পারলে ওদেরকে বেঁধে এনে সাকিবের কাছে মাফই চাওয়ায়।
আমি বুঝলাম না! এইসবের মানে কী??? সাকিবের কাছে মাফ চাওয়াতে হবে কেনো? এক জনকে বড় করতে গিয়ে বাকিদের হিউমিলিয়েট করার মানেটা কী? কেউ খারাপ করলে তার প্রতি না সহানুভূতিশীল হতে হবে, তাকে এগোনোর রাস্তা ধরাইয়া দিতে হবে।
এই অ্যাবিউজ করার মানসিকতা কোত্থেকে আসছে? এর সাথে কি ছোট বেলায় বাবা-মায়ের অ্যাবিউসিভ আচরণের সম্পর্ক আছে?
মনে আছে- দেখতাম, বাচ্চা পরীক্ষায় খারাপ করলে শুধু যে মার দিতে তা না, স্কুলের ফার্স্ট বয়ের জুতা পরিষ্কার করতে বলতো। এই সংস্কৃতিরই ছাপ কি এই আচরণ?
কথাগুলো না বলে পারলাম না। এই জন্য ফেসবুক থেকে দূরে থাকা ভালো। এইসব ক্লেদ দেখা লাগে না।’
কালের আলো/এআর/এমএম