ভোটারের তথ্য সংগ্রহে অবহেলা করলেই ব্যবস্থা: ইসি সচিব

প্রকাশিতঃ 8:44 pm | July 02, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ না করা হলে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্য ইসির কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ না করলে বা দায়িত্ব অবহেলা করলে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালায় যে শাস্তির বিধান রয়েছে তাকে সেই শাস্তি দেবে কমিশন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ইসি সচিব।

বুধবার (৩ জুলাই) থেকে দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা মহানগরীর ১২টি থানার ভোটারদের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করবে ইসি। এ জন্য ইতোমধ্যে ৪৩২ জন সুপারভাইজার নিয়োগ দিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

রমনা, মতিঝিল, পল্লবী, মিরপুর, তেজগাঁও, ধানমন্ডি, ক্যান্টনমেন্ট, মোহাম্মদপুর, গুলশান, লালবাগ, উত্তরা ও বসুন্ধরা- ঢাকা মহানগরীর এ থানাগুলোতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

শাস্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আচরণ বিধিমালায় অর্থদণ্ড ও জেল জরিমানা উভয় দণ্ড আছে। তাই আমরা অপরাধের মাত্রা দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

ইসি সচিব বলেন, সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরীতে নাগরিকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বুধবার (৩ জুলাই) থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্য সংগ্রহকারীদের ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

মো. আলমগীর বলেন, এ বছর এক সঙ্গে চার বছরের ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতিবছর ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে মোট ১০ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ পর্যন্ত ২ লাখ ২৫ হাজার ৩০৭ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের হার ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ।

ঢাকা শহরে নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেকে তথ্য সংগ্রহকারীদের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয় না। এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, অনেক ভোটার হয়তো ভয়ে দরজা খুলতে চান না। সেক্ষেত্রে যারা তথ্য সংগ্রহ করতে যাবেন, তাদের একটা আইডি কার্ড (পরিচয়পত্র) দেয়া হয়। সেটা দেখে অনেকে নিশ্চিত হতে পারেন। তথ্য সংগ্রহ করতে কোন এলাকায় যাবেন, সেটা তো আগে থেকেই জানাতে হবে। এক্ষেত্রে যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আছেন বা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ছাড়াও নানা রকম সংগঠন, ক্লাব, মসজিদ, মন্দিরের সহযোগিতা নেয়া হয়। এগুলোর মাধ্যমে আমরা প্রচারও করে থাকি। আমার মনে হয়, খুব বড় সমস্যা হবে না।

সচিব আরও বলেন, তবে এই সুযোগে যাতে কোনো দুষ্কৃতকারী সুবিধা নিতে না পারে, সেজন্য জনগণের কাছে আমি আহ্বান জানাব, তারা নিশ্চিত হয়েই যেন তাদের তথ্য প্রদান করেন।

এবার ভোটার তালিকা হালনাগাদে যাদের বয়স ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, যাদের জন্ম ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, যাদের জন্ম ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে এবং যাদের জন্ম ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগের– তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, যাদের বয়স ১৮, তাদের তথ্য তো নেবেই, এমনকি যাদের বয়স ১৬ হয়েছে, তাদেরকেও তালিকাভুক্ত করা হবে। তবে তারা ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন না। পরবর্তী দুই বছর পর যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তখন তারা ভোটার হবেন। এভাবে প্রতি বছরই তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ১৮ বছর হলে অটোমেটিক্যালি তারা ভোটার হয়ে যাবে। ভোটার আইডি কার্ডও পেয়ে যাবে।

কালের আলো/এআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email