ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান ডিএসসিসি মেয়রের

প্রকাশিতঃ 6:18 pm | July 01, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।

তিনি বলেছেন, বর্ষা মৌসুমে সাধারণত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই আতঙ্কিত হবার মতো কোনো কারণ নেই। ডেঙ্গু সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চিকুনগুনিয়া এবার তেমন একটা দেখাই যায়নি। কাজেই আতঙ্কিত হবার মতো পরিস্থিতি এখনো কোনো লক্ষণ নেই। নগর কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) মশক নিধনকর্ম সূচির অংশ হিসেবে মন্ত্রিপাড়ার বেইলি রোডে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনকালে মেয়র একথা বলেন।

তিনি বলেন, সবার সচেতনতায় মশক নিয়ন্ত্রিত নিরাপদ শহর গড়তে চাই। যেহেতু স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার বংশবিস্তার হয় তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আপনার সামান্য সচেতনতা আপনার জীবনকে নিরাপদ করবে। আপনার প্রিয়জনকে নিরাপদ করবে।

মেয়র বলেন, নগরবাসীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার দেবার জন্য আমাদের ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট প্রতিটি ওয়ার্ডে যাবে। ওয়ার্ডের আয়তন ও ঘনত্ব বুঝে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪ থেকে ১১ টি ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করবে।

‘যদি ডেঙ্গুজনিত কারণে বা অন্যকোনো কারণে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমাদের ভ্রাম্যমাণ টিম তাদের স্বাস্থ্যসেবা দেবে ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেবে। এছাড়া যদি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তাহলে আমাদের টিম তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর করবে। সবাইকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। এছাড়া আগামী ১৫ জুলাই থেকে হট লাইন নম্বর চালু করা হবে। নগরবাসী ঘরে বসেই স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন।’

তিনি বলেন, প্রতিটি অঞ্চলে সার্বিক মশক নিধন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই ৭টি ওয়ার্ডে ৩৪৬ জন মশক নিধন কর্মী ২৭৪টি ফগার মেশিন নিয়ে একযোগে পরিচালনা করবে। একটি এলাকায় যখন এভাবে মশক নিধনকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়বে স্বাভাবিকভাবে মশা নিয়ন্ত্রণে আসার কথা রয়েছে। নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে।

এসময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ব্রি: জেনা: ডা. মো. শরীফ আহমেদ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এনএ/আরএম

Print Friendly, PDF & Email