মাদক নির্মূল করা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার কাজ না : র‍্যাব ডিজি

প্রকাশিতঃ 11:07 pm | June 26, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দেশ থেকে মাদক নির্মূল করা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার কাজ না বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেছেন, মাদক একটি জাতীয় সমস্যা, এ সমস্যা সমাধানে সমাজের সবার একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে।

র‌্যাব ডিজি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা কতটুকু জয়ী হয়েছি, সেটি বিচারের সময় এখনও আসেনি। এখন সময় সবাইকে সম্পৃক্ত করে, সবাই মিলে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। আর এ সমস্যা থেকে দেশকে মুক্ত করা।

বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব) অডিটোরিয়ামে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, কাজ করার ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। মিয়ানমারের সঙ্গে কক্সবাজারের যে বিশাল সমুদ্র সীমানা, সেই এলাকায় প্রতিনিয়ত প্রায় ৭ লাখ নৌকা চলাচল করে। নিয়মিত এতোগুলো নৌযান স্ক্রিনিং করা সম্ভব নয়। তারপরেও দীর্ঘ পরিশ্রমের পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময় ইয়াবাসহ নৌযান আটক করা হয়।

বাংলাদেশে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার মাদক বাণিজ্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতো বড় অর্থনীতি, যা আমাদের জাতীয় বাজেটের প্রায় এক পঞ্চমাংশ। এই মাদক আমাদের অর্থনীতি, দেশ, যুবসমাজ তথাপি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমরা কেন নিজেদেরকে এভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছি?

আগে ভারতের সীমান্ত এলাকায় হাজারো ফেনসিডিল কারখানা ছিলো, যেখান থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল পাচার হতো। এখন ইয়াবা ভয়াবহ আকারে রূপ নিয়েছে। কই মিয়ানমারের যুবকরাতো ইয়াবা গ্রহণ করছে না, আমাদের যুবকরা কেন নিচ্ছে?

তিনি বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গা নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো, যে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের সঙ্গে জড়িত তারা এখনো সেখানেই রয়ে গেছে। ইয়াবা বর্তমানে জাতীয় হুমকিতে পরিণত হয়েছে।

বেনজির আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র র‌্যাব ৭০০ কোটি টাকার বেশি মাদক জব্দ করেছে, প্রায় ২১ হাজার জনকে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদক কতটুকু নিয়ন্ত্রণ হয়েছে জানি না। তবে আগে যেখানে রাস্তাঘাটে প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি হতো, সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

আমরা সাপ্লাই কাটে কাজ করছি। কিন্তু ডিমান্ড কাট না করতে পারলে, কোনো না কোনোভাবে মাদক প্রবেশ করবেই। সময় লাগলেও সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মাদক নির্মূল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

কালের আলো/এআর/এমএম

Print Friendly, PDF & Email