দুই-একটা কেন্দ্রে সামান্য গণ্ডগোল করার চেষ্টা করেছে দুষ্টু লোকজন : ইসি সচিব

প্রকাশিতঃ 9:22 pm | June 18, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ছিনতাই ও জোর করে ভোট দেয়ার চেষ্টা ছাড়া পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপ বা পঞ্চম ধাপের ভোট ‘খুব ভালো’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. আলমগীর। ইভিএম মেশিন ছিনতাই ও জোর করে ভোট দেয়ার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দেশের ২০টি উপজেলায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পঞ্চম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট শেষে গণমাধ্যমকে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কথা জানান সম্প্রতি ইসি সচিবের দায়িত্ব নেয়া আলমগীর।

নির্বাচন কেমন হয়েছে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘ভালো, খুব ভালো, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই। তবে দুই-একটা কেন্দ্রে সামান্য একটু গণ্ডগোল করার চেষ্টা করেছে দুষ্টু লোকজন। কিন্তু তারা সফল হয়নি।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি কেন্দ্রে ইভিএম ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিল, সেটা পারেনি। তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। এরপর অল্প কিছুক্ষণের জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। ইভিএম রি-ইনস্টল করে আবার ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়।’

আলমগীর বলেন, ‘একটা উপজেলায় কিছু লোকজন জোর করে ভোট দেয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা পাঁচটা ব্যালট পেপারে জোর করে ভোট দিয়েছিল। ওই পাঁচটা ভোট বাতিল করে দেয়া হয়েছে। তাদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।’

পঞ্চম ধাপে চারটি উপজেলার সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ইভিএম কেন্দ্রগুলোর ফল দ্রুত আসার কথা থাকলেও তা আসছে না।

এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘আমাদের চারটা উপজেলার সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম কেন্দ্রগুলোর ভোট যদি রাত ৮টার পরে ফল পাই, তাহলে আমরা এই মন্তব্য করতে পারব যে, দেরি হচ্ছে কেন?’

‘আগের সময়ের কথা বলতে পারব না। এবার দেখেন কী হয়’,- যোগ করেন ইসি সচিব।

পঞ্চম ধাপে ২০টি উপজেলায় ভোট হলো। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন চেয়ারম্যান পদে ৬২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০১, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭০ জন।

মামলার কারণে মঙ্গলবারের ভোট স্থগিত রয়েছে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় চেয়ারম্যান পদে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তিন পদেই বিনা প্রতিন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। এর বাইরে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ভোট হওয়া উপজেলাগুলো হলো- শেরপুরের নকলা, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, বরগুনার তালতলী, গাজীপুর সদর, নারায়ণগঞ্জের বন্দর, মাদারীপুর সদর, রাজবাড়ীর কালুখালী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর, নোয়াখালী সদর, রাজশাহীর পবা, নেত্রকোনার পূর্বধলা, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া এবং খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হয় গত ১০ মার্চ। এরপর দ্বিতীয় ধাপের ভোট ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপের ২৪ মার্চ এবং চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হয় ৩১ মার্চ।

কালের আলো/এনএল/এমএম

Print Friendly, PDF & Email