কঠোর পথে আইজিপি, মাদক ‘বিপর্যয়’ থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশ?

প্রকাশিতঃ 7:45 am | May 20, 2019

অ্যাক্টিং এডিটর, কালের আলো :

দেশে মাসে ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হতো মাদক সেবনের পেছনে। প্রায় ৩০ লাখ মাদক ব্যবসায়ী প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার মাদক বেচাকেনা করতো। পুলিশ সদর দপ্তরের চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান ছিল এমনই।

ভয়ঙ্কর এ পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে মাদকেই ‘বিপর্যয়কর’ এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দেশে।

আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধু’র ‘স্বপ্নের পুলিশ’ উপহারের মিশনে আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী

এরপর মাদকের বিরুদ্ধে ‘অল আউট’ অভিযানে নামে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ২০১৮ সালের পুরোটা সময়জুড়ে মাদক বিরোধী কঠোর অভিযানে প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসায়ী নিহত এবং দেড় লাখ গ্রেফতার হয়।

নতুন বছরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহের তৃতীয় দিনে দেওয়া তথ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী জানান, ‘২০১৮ সালে ১ লাখ ১২ হাজার মামলায় দেড় লাখ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উদ্ধার হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার মাদক।’

মাদকের লাগাম টেনে ধরার পুলিশী তৎপরতার পর নতুন কৌশল গ্রহণ করে মাদক কারবারিরা। তাদের সব ধরনের ‘চাতুর্য’ মাথায় নিয়ে নতুন আঙ্গিকে নতুন বছরে আবারো চলছে কার্যকর অভিযান। ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা কারবারিদের গ্রেফতারে দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।

লন্ডভন্ড করে দেওয়া হচ্ছে তাদের আস্তানা। টিকতে না পেরে আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেয় ইয়াবা কারবারিরা। কক্সবাজারের টেকনাফের ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে।

আত্মসমর্পণকে কেউ কেউ ‘নাটকীয়’ হিসেবে উপস্থাপন করলেও সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখেছেন বেশিরভাগ সচেতন মানুষ।

পুলিশও আত্মসমর্পণকারীদের কাছ থেকে মাদকের রাশ টেনে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য সংগ্রহ করে।

একই সঙ্গে মাদক বিরোধী ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুলিশ বহাল রাখায় কথিত সেই সমালোচকরা চুপসে যান। এমনকি আত্মসমর্পণকারী সেই মাদক কারবারিরা কঠোর নজরদারিতে রয়েছেন জানিয়ে তাদের আবারো ‘সতর্ক বার্তা’ দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।

আরো পড়ুন: কঠিন-কোমল মেজাজে আইজিপি

মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর পথে শক্ত অবস্থানের বিষয়টি আবারো স্পষ্ট করে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় নিজ জেলা চাঁদপুরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের আইজি ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) বলেছেন, ‘ভুল বুঝে নিজেদের সংশোধন করে তাঁরাও (মাদক কারবারিরা) যদি দেশ গড়ায় শরীক হয়, তাতে সবারই মঙ্গল।

তবে আত্মসমর্পণকারীদের মামলাগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলবে। পুনরায় মাদক ব্যবসায় ফিরলে তাদের জন্য কঠোর পরিণতি অপেক্ষা করছে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

পুলিশ সদর দফতরের একটি সূত্রে দেওয়া তথ্য বলছে, দেশে প্রায় ৩০ লাখ মাদক কারবারির ১৫ লাখই রাজধানী ঢাকার। এরমধ্যে পাইকারি ও খুচরা মাদক বিক্রেতা রয়েছেন। বাকী ১৫ লাখের মধ্যে ১০ লাখ ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের।

বাকি ৫ লাখ ব্যবসায়ী দেশের বিভিন্ন জেলার। তবে এসব কারবারিদের বেশিরভাগই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত।

জঙ্গিবাদ দমনের মতো মাদক নির্মূলেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রী মাদকবিরোধী অভিযানে জিরো টলারেন্স নীতি চালানোর ঘোষণা দেন।

সর্বশেষ পুলিশ সপ্তাহেও গণভবনে পুলিশ বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্মেলনে তিনি সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাহিনীটির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

এর আগে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হ্যাট্টিক প্রধানমন্ত্রী মাদক নির্মূলে অভিযান অব্যাহত রাখতে বলেন।

আরো পড়ুন: জঙ্গি দমনে বিশ্বে ‘নজির’ বাংলাদেশ, বঙ্গকন্যার বিচক্ষণতায় সাফল্যে পুলিশ

পুলিশ সদর দফতরের পদস্থ কর্মকর্তারা মনে করেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর অনমনীয় পদক্ষেপ আর আইজিপির কড়া নির্দেশনায় ব্যাপক তৎপরতায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল মিলেছে। ফলত ‘সর্বনাশা’ মাদক এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।

এর পাশাপাশি মানুষও আগের চেয়ে সচেতন হওয়ায় মাদকের ‘বল্গাহীন’ পাগলা ঘোড়া বেশ বাগে আনা সম্ভব হয়েছে।

জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মো: আনোয়ার হোসেন কালের আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাস্তব ও প্রায়োগিক অভিজ্ঞতায় মহীরুহসম পুলিশ প্রধান ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী নতুন বছরেও নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাদক প্রতিরোধে জোরালো অভিযানে নেমেছেন।

কোন মাদক কারবারিকে ছাড় না দেওয়ার মানসিকতায় তিনি অটল রয়েছেন। জঙ্গিবাদ দমনের পর এখন পুরোপুরি মাদক নির্মূল পুলিশের প্রধান টার্গেট। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক কালের আলোকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাদক নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছেন। চৌকস ও দক্ষ পুলিশ প্রধান ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী’র নেতৃত্বে মাদক নির্মূলে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি।

যেখানেই মাদক বিক্রি ও সেবন সেখানেই পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এতে করে মাদকের সর্বগ্রাসী থাবা থেকে ক্রমশ উত্তরণ মিলছে।’

শান্তি, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশ পুলিশ। মাদক নির্মূলে ড্রাস্টিক প্লাস কৌশলী অ্যাকশনের মুখে দেশের বিভিন্ন জেলাতেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পণে তোড়জোড় শুরু করেছে। এছাড়া পরিকল্পিতভাবেই অগ্রসর হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।

আবার মাদককারবারিদের মতোই নিজ বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদ্যরাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের সঙ্গেও ‘মাদক ব্যবসায়ীদের’ মতো আচরণ করার কথা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশের আইজি জাবেদ পাটোয়ারী।

বলেছেন, ‘পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদকসেবন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার সত্যতা পেলে ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতাকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

অপরাধ বিশ্লেষকরাও বলছেন, পুলিশের অভিযান ও কৌশলে দেশে মাদকের প্রকোপ কিছুটা হলেও কমেছে। তবে একেবারেই মাদক নির্মূল করা কঠিন। এ সমস্যা সমাধানে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করলে হবে না।

দেশের সাধারণ মানুষকেও সমানভাবে জেগে উঠতে হবে। রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে মাদকের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এটাকে জাতীয় সমস্যা ঘোষণা করে একযোগে মাঠে নামতে হবে।

অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রায় সময়েই অভয় দিয়েছেন এবং বলেছেন মাদক নিয়ন্ত্রণেও সক্ষমতা রয়েছে পুলিশের। মন্ত্রীর ভাষ্যে- ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ না হওয়ার কোনো কারণ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় দেশের মানুষ এখন নিরাপদে স্বস্তিতে আছে।

জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি একধাপ তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। একইভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণেও সক্ষম হব।’

প্রধানমন্ত্রী মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন সেই কাজ পুলিশ বাস্তবায়ন করছে-চলতি বছরের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে বগুড়ায় এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী।

এ বিষয়ে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ কালের আলোকে বলেন, ‘পেশাদার, প্রাযুক্তিক শ্রেষ্ঠত্ব, চৌকস, দক্ষ, নিষ্ঠা, কমিটমেন্ট ও প্রাগ্রসরতার অধিকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মাদক নির্মূলে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।

আমরা আশাবাদী, সবার সহযোগিতা পেলে মাদকের মূলোৎপাটন করা সম্ভব হবে।’

দেখা গেছে, বছর কয়েক আগেও দেশে মাদক বলতে ছিল গাঁজা ও ফেনসিডিল। কিন্তু এখন সে জায়গা নিয়েছে ইয়াবা। কম দাম, আকারে ছোট, সহজলভ্য ও বহন সুবিধার জন্য মাদকসেবীরাও ঝুঁকেছেন ইয়াবায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টেকনাফের ওই আত্মসমর্পণের পর অন্যান্য ইয়াবা কারবারিরা কীভাবে গোপনে কিংবা নতুন করে মাদক ব্যবসা করছে, হুন্ডি কীভাবে হচ্ছে সেই কৌশলও জানতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এখন মাদক নির্মূলে চাহিদা ও জোগান বন্ধের তৎপরতায় বিশেষ মনোযোগী রয়েছে পুলিশ।

একই সূত্র মতে, ইয়াবার ল্যান্ডিং পয়েন্ট কক্সবাজারে ইয়াবা নির্মূলে আত্মসমর্পণকারী ওই মাদক ব্যবসায়ীদের কাজে লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তাদের মাধ্যমেই তালিকার বাইরেও আরো প্রায় দুই শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর নাম জেনেছে পুলিশ।

সেই তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তাঁরা ইয়াবা পাচারের রুট এবং ব্যবসার কৌশল সম্পর্কেও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে।

মাদকের উৎসমূল চিহ্নিত করে চিরতরে উৎপাদন ও বিপণন ধ্বংস করে মাদকের ভয়াবহতা থেকে দেশকে মুক্ত করার লক্ষে অবিচল ও কঠোর সংগ্রামী পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তারুণ্য ও প্রাজ্ঞতায় রজতশুভ্র এক উজ্জ্বল মানুষ তিনি।

আবার মাদক বিরোধী এ অভিযানে নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নিজ বাহিনীর সদস্যদের।

নিজের পরিচিতজন থেকে শুরু করে সাধারণ পুলিশ সদস্যরাও বলছেন, প্রতিনিয়ত নিজেকে অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে চলার প্রতীতিতে পূর্ণ অনির্বাণ মশাল হলেন পুলিশ প্রধান।

তাঁর প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের সঙ্গে তারুণ্য-যৌবনের লেলিহান জনশক্তি বদলে দিচ্ছে পুলিশকে। সমাজ থেকে মাদক নামের এই ‘ক্যান্সার’ দূর করতে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলনকেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন আইজিপি।

জঙ্গিবাদের মতোই মাদককেও শক্ত হাতে রোধ করতে আশাবাদী পুলিশের এ সর্বোচ্চ কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশকে নিরাপদ করার প্রধান কারিগর হচ্ছে পুলিশ।’

বঙ্গবন্ধু অন্ত:প্রাণ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ক্যারিশমায় গুণমুগ্ধ এবং আস্থাশীল ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশ সদস্যরাই।

রাজারবাগে শতশত পুলিশ সদস্যরা তাদের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। আমরা তাদেরই উত্তরসূরী।’

তাঁর বক্তব্য হচ্ছে এমন- ‘১৯৭১ সালের মতো ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালেও স্বাধীনতা বিরোধী চক্ররা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তা প্রতিরোধে পিছপা হয়নি। জঙ্গি উত্থানেরও চেষ্টা হয়েছে, সে ষড়যন্ত্র থেকেও দেশকে পুলিশ মুক্ত করেছে।’

এখন মাদকের ভয়াল থাবা থেকে প্রজন্মকে দূরে রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বাংলাদেশ গড়ায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে মাদকমুক্ত দেশের স্বপ্নও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই পূরণ করা সম্ভব বলেই মনে করেন পুলিশ বাহিনীতে পেশাদার, মেধাবী ও মৃদুভাষী হিসেবে অনুকরণীয় এ পুলিশ কর্মকর্তা।

সাধারণ পুলিশ সদস্য থেকে শুরু করে অনেকেই বলছেন, সত্য যত কঠিনই হোক, সেই কঠিনেরে ভালোবেসে নিজেকে চেতনা ও বিবেকের পাটাতনে বারবার উপস্থাপন করেছেন আইজিপি ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

সত্যনিষ্ঠা ও দ্রুততার বিঘোষিত নীতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরে সাদাকে সাদা আর কালো কালো বলার সত্য-সুন্দর ধ্বনি উচ্চকিত করেছেন নিজের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে।

তাঁর নেতৃত্বে নির্ভীক পুলিশ সদস্যরা শিরদাড়া উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন মাদকের বিরুদ্ধে; ষোল কোটি বাংলাদেশের মা-মাটি-মানুষের স্বার্থের মানসপটে।

কালের আলো/এইকেএ/এএএমকে

Print Friendly, PDF & Email