‘মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে তথ্য দিন, পুলিশ পাশে আছে’

প্রকাশিতঃ 6:51 pm | May 07, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, মাদকাসক্তি ব্যক্তি নিজের সাথে পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করছে। এই মাদকের ফলে আমাদের ভবিষ্যত তরুণ প্রজন্ম ধ্বংস হলে দেশের উন্নয়নের কিছুই থাকবে না। মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সম্পর্কে তথ্য দিন, পুলিশ আপনাদের পাশে আছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর উত্তরায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

‘আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক’ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ডিএমপির উত্তরা বিভাগ।

জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে অনেক ভালো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগিতার কারণে ঢাকা শহরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ভূমি দখল, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির মতো অপরাধ নেই বললেই চলে। তবে একেবারেই ক্রাইম ফ্রি সমাজ চিন্তা করা যায় না। কেউ অপরাধ করলে আমরা দ্রুত সময়ে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করছি।

জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি থেকে শুরু করে হলি আর্টিসান হামলা ছিল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা সব ষড়যন্ত্র জীবন বাজি রেখে প্রতিহত করেছি। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বে অনুকরণীয়। আমাদের গোয়েন্দাদের কঠোর নজরদারির কারণে হলি আর্টিসানের পর বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী হামলা হয়নি। আমাদের গোয়েন্দা ও কাউন্টার টেররিজম বিভাগ জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক বিধ্বস্ত করে দিয়েছে।

‍সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ঢাকা শহরের প্রায় ৬৫ লাখ নাগরিকের তথ্যের সমন্বয়ে তথ্য ভাণ্ডর তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে অপরাধের হার কমেছে এবং কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে।

মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, বর্তমানে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ মাদক। পুলিশের কোনো সদস্য মাদক ও মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে তাকেও কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

সন্তান মাদকাসক্ত বা জঙ্গিবাদে জড়িয়েছে কিনা প্রথমত বাবা-মা দেখবেন, এরপর নজরদারিতে রাখবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমন কিছু দেখলে আপনারা পুলিশকে জানান। আমরা কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে তাকে সুপথে আনার চেষ্টা করবো। সমাজের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের সহযোগিতা ছাড়া শুধু আইন প্রয়োগ করে মাদক ও সন্ত্রাস দমন করা যাবে না।

রমজানে রোজাদার নগরবাসীকে ইফতারের আগে নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দিতে প্রতিদিন দুই হাজার ট্রাফিক পুলিশ শুধু খেজুর ও পানি খেয়ে ইফতার করে। আমরা রমজান ও ঈদে বাস-টার্মিনাল, শপিংমলে নিরাপত্তা দেবো। যাতে নিরাপদে নগরবাসী ঈদ কেনাকাটা করতে পারে।

আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় আগত নগরবাসী নিজ এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক নানা পরামর্শ ও দাবি উত্থাপন করে। এসময় কমিশনার সবার দাবি বাস্তবায়নে আশস্ত করে সংশ্লিষ্ট থানা ও পুলিশ অফিসারকে নির্দেশ দেন।

কালের আলো/এনএল/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email