‘সেফুদা’র মামলা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিতঃ 5:21 pm | April 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

ফেসবুকে লাইভে পবিত্র কোরআনকে অবমাননাকারী সেফাতউল্লাহ ওরফে সেফুদার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলাটি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে সেফাতউল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন জানান আইনজীবী মো. আলীম আল রাজী জীবন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন।

পরে মামলার আইনজীবী ওয়াকিলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে ওই আবেদনের ওপর বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন শুনানি নিয়ে এজাহার গ্রহণ করেন। সেফাতউল্লাহর বিরুদ্ধে এক আইনজীবীর আনা অভিযোগের তদন্ত করতে বলা হয়েছে পুলিশকে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ,২৯ ও ৩১ ধারায় ভিয়েনা প্রবাসী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন বাদী।

মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাতউল্লাহ ওরফে ‘সেফুদা’ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকারী মন্তব্য করছেন। এ অবমাননা বাদীসহ মুসলিম ধর্মীয় বিশ্বসের ওপর আঘাত করেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রবাসী সেফাতউল্লাহ একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমাণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এমনকি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। সে কারণে আসামি সেফুদা’র ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন বাদী।

জানা গেছে, পারিবারিক জীবনে সেফুদার এক সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী থাকেন ঢাকায়। প্রায় ২২ বছর আগে সেফুদা অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় চলে যান।

এদিকে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল আলোচিত-সমালোচিত সেফুদাকে দেশে অথবা বিদেশে আইনের হাতে তুলে দিতে পারলে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email