ইসলামী নেতাদেরও ঝেড়ে কাশার সময় এসেছে

প্রকাশিতঃ 10:17 am | April 13, 2019

কালের আলো ডেস্ক:

সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকান্ডের বিষয়ে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রযোজক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

ফেসবুক পোস্টে তিনি এই হত্যাকান্ডের ব্যপারে রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কথাও বলেছেন। তিনি ইসলামী নেতাদের ব্যপারেও মন্তব্য করেছেন এই ঘটনা নিয়ে যাতে তারা মুখ খুলে।

কালের আলোর পাঠকদের জন্য ফারুকীর স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-

কখনো কখনো নীরব থাকা কঠিন, তা যতোই করি না নীরবতার ব্রত!

নুসরাতকে যেভাবে মাসের পর মাস ধরে সিস্টেমেটিকভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে এটা আমাদের রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন তোলে। সরকারের উচিত সিরাজউদ্দৌলা এবং তার ক্ষমতা-চক্রের সবার বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত রাখা, রাষ্ট্র-সমাজ-আইন-কানুনের উপর আস্থা ফিরিয়ে আনা।

একই সঙ্গে সকল মাদ্রাসা, স্কুলসহ যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি মনিটরিং এবং বিচারের জন্য সেল খোলা হউক।

ইসলামী নেতাদেরও ঝেড়ে কাশার সময় এসেছে। চার্চে যৌন হয়রানি নিয়ে কথা বার্তা শুরু হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিস ব্যাপারটা স্বীকার করে এই বিষয়ে কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দুই হাজার তেরো সালে। যদিও সমালোচকরা বলছেন- বাস্তবে তেমন কিছু করা হয় নাই।

আমার প্রশ্ন হলো- আমাদের ধর্মীয় নেতারা এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কী অবস্থান নিয়েছেন? ধর্মের ইমেজ নিয়ে যারা এতোটা চিন্তিত তারা কি বুঝতে পারছেন ইমেজ নষ্ট করার সবচেয়ে ভয়ংকর কারণ হচ্ছে এগুলো?

মেয়েদের জিন্স আর টি শার্টের দিকে নজর না দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বালক-বালিকাদের যৌন হয়রানির দিকে নজর দিলে আপনাদের ভাবমূর্তির উন্নতি ঘটবে।

ধন্যবাদ।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এর আগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানীর মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।

পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল রাতে নুসরাত মারা যায়।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email