বঙ্গবন্ধুও ফুটবল খেলতেন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 11:56 pm | April 04, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফুটবল আমাদের দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। মাঠে-ঘাটে, একেবারে গ্রাম পর্যায়ে খেলা চলে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়েও ফুটবল দল গঠিত হয়। আর বিশেষ করে, আমি এমন একটি পরিবার থেকে এসেছি, আমার দাদা তিনি ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন, আবার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তিনিও ফুটবল খেলতেন। আমার ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল- সবাই ফুটবল খেলতো।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ খেলার আয়োজন করে।

বিকেল ৪টা ৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন। এ সময় সবাই করতালীর মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান। এরপর মাঠে বসেই বেশকিছু সময় খেলা উপভোগ করেন তিনি।

‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮’ এবং ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮’ খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি থেকে তিনি পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমার নাতি-নাতনিরাও ফুটবল খেলে। জয়ের মেয়ে ফুটবল খেলে, পুতুলের ছেলে-মেয়েরা ফুটবল খেলে, এমনকি রেহানার ছেলে ববি, তার ছেলেমেয়েও ফুটবল খেলে। মোটামুটি আমাদের পরিবারের সবাই ফুটবল খেলার সঙ্গে জড়িত। কাজেই এই খেলাটির প্রতি আমাদের আলাদা আন্তরিকতা আছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের খেলোয়াড়রাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করছে। ফুটবলে মেয়েরা আজ আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে আনছে। এত বড় আয়োজনের (বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ) খেলা পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের যে আয়োজন করেছি সেখানকার খেলোয়াড়রাই জাতীয় দলে স্থান পাচ্ছে। তারাই আজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনছে। এ ধরনের উদ্যোগ না নিলে হয়তো এটা সম্ভব হতো না।

খেলায় বিজয়ী, রানার্সআপ, তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দল ও দলের খেলোয়াড়দের এবং এ টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণকারী সব খেলোয়াড়কে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, বালিকা বিভাগের এই ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে রংপুর বিভাগের লালমনিরহাটের টেপুরগাড়ী বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ময়মনসিংহের নান্দাইলের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email