বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির একটি বাংলাদেশ: বিশ্ব ব্যাংক

প্রকাশিতঃ 3:13 pm | April 04, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বিশ্বের যে ৫টি দেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না থাকার পরও বাংলাদেশ এটি অর্জন করেছে। এমন তথ্য দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটেড’ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট জাহিদ হোসেন।

বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়লেও চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হবে বলে অভিমত দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

অথচ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ হোসেন বলেন, ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্থনীতিতে হতেই পারে। বাংলাদেশকে টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এবং প্রযুক্তি ও মানব সম্পদের উন্নয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ন্যূনতম ৭ শতাংশ থাকবে বলে আমরা মনে করছি। তবে এর জন্য চ্যালেঞ্জ আছে। এ চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্যাংকিং খাত এবং রাজস্ব খাত। তাই ব্যাংকিং খাত ও রাজস্ব খাতে সংস্কার আনতে হবে।

ঋণ পুনঃতফসিল খেলাপি ঋণ বাড়াচ্ছে এমন মন্তব্য করে এ অর্থনীতিবীদ বলেন, খেলাপি ঋণ একটি ছোঁয়াচে রোগ। ঋণ পুনঃতফসিল ছোঁয়াচে রোগটা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। একই ঋণগ্রহীতা বারবার পুনঃতফসিল করছেন, কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে আমি বিপদগ্রস্ত।

বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট বলেন, আমাদের যে পুনঃতফসিল করা হচ্ছে তার অর্থনৈতিক যুক্তিটা কী? খেলাপি ঋণের সবটাই অনিচ্ছাকৃত নয়। অনিচ্ছাকৃত হলে একবার, দুইবার হতে পারে। কিন্তু বারবার খেলাপি হলে তা কিছুতেই অনিচ্ছাকৃত নয়।

বাংলাদেশের অর্থনীতি উভয় সংকটে রয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতিতে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি কমিয়েছে। এটাকে বলে উভয় সংকট।

রাজস্ব আয়ের বিষয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ, যা সম্প্রতিকালের মধ্যে সর্বনিম্ন। আমার মনে করছি এবার বাজেট ঘাটতি ৪ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং তার আগের অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

অবকাঠামো ও মানবসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অবকাঠামো খাতে বিশেষ করে সড়কের ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে হবে। এ জন্য সহজ উপায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। মানবসম্পদের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের মানসম্পন্ন শিক্ষার অভাব রয়েছে।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email