একটি শিশুর মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও আপনাদের লোভ…
প্রকাশিতঃ 6:34 pm | April 03, 2019
আলী রীয়াজ ::
নৈতিক অধঃপতনের কোন স্তরে আসলে আমরা বলতে পারবো ‘বন্ধ করেন, ঢের হয়েছে’, কবে বলতে পারবো ‘আর নয়’? একটি শিশুর মানুষের প্রতি ভালোবাসা, মানবিকতাকে আপনারা আপনাদের লোভের শিকার করতে পেরেছেন, ব্যক্তি এবং দলের স্বার্থ আপনাদেরকে অন্ধ করে দিয়েছে। এই ‘কৃতিত্বের’ জন্য কী পুরস্কার আপনারা চান? যা পেয়েছেন তা কি যথেষ্ট নয়? লোভের আগুন কত ভয়াবহ তা কি এখনও স্পষ্ট নয়?
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁর শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাঁদের যে অবমাননা করেছেন তা কি কেবল দুঃখ প্রকাশের ব্যাপার? শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়াবার নৈতিক শক্তি একজন শিক্ষক কখন হারিয়ে ফেলেন?
একজন মেধাবী প্রার্থী শিক্ষক পদের জন্য আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউ দিতে এসে ক্যাম্পাসে ‘অপহরণের’ শিকার হয়েছেন, আক্রান্ত হয়েছেন, আহত হয়েছেন কিন্ত উপাচার্য বলছেন, ‘পুনরায় শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব নয়। ওই ছাত্র যদি যোগ্য প্রার্থী হন, তাহলে পরেরবার বিজ্ঞপ্তি দিলে আবেদন করতে পারবেন।’ কিন্ত যিনি অন্যায়ের শিকার হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে, যাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে ক্যাম্পাসে এনেছিলো তাঁর প্রতি কী কোনো দায়িত্বই নেই? নৈতিকভাবেও নেই?
আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অন্যায়ের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে নিজেদের সহকর্মীদের অপরাধের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিতে কুণ্ঠিত হননি। ক্ষমতাসীনদের কেউ কেউ আগুনের লেলিহান শিখার ভেতরে এটা দেখতে পান না কী করে মানুষেরা সর্বস্বান্ত হয়েছে, দেখতে পান কী করে বাণিজ্যিক বহুতল ভবন নির্মাণের ‘সাফল্য’ অর্জন করা যায়। একেকটি ‘দুর্ঘটনা’ ঘটলে আগে কী করেছেন সেই জবাবদিহি শুনতে পাই না, আগামীতে কী করবেন সেই প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)