খালেদার নির্বাচনে অংশ নেয়া আদালতের বিষয়: কাদের

প্রকাশিতঃ 10:37 pm | February 20, 2018

কালের আলো রিপোর্ট:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আদালত নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনুমতি না দিলে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কিছু করার নেই। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধের দায়, সেখানে যদি নির্বাচন করার যোগ্যতা তিনি অর্জন না করেন, তাহলে সেখানে সরকারের কিছু তো করার নেই। এখানে বিষয়টি আদালতের, এখানে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

মঙ্গলবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপিতে একজনও কি সৎ নেতা নেই দণ্ড ছাড়া, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা যেত না? এমন প্রশ্ন উত্থাপন করে কাদের বলে, “দণ্ডিত ব্যক্তিকে, দুর্নীতিবান ব্যক্তিকে, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে, বিদেশি ফেরারি আসামিকে বিএনপির চেয়ারপারসন করার মধ্য দিয়ে এটাই প্রমাণ হলো, এই দল ক্ষমতায় গেলে আবারও বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে।”

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “আদালতের যে রায়, তার সত্যায়িত কপি নিয়ে এত দিন তারা (বিএনপি) সন্দেহ করেছে। কপি কাল পেয়ে গেছে। পাওয়ার পরও আবার নতুন নতুন নানা কথা বলছে। রায়ের একটি অংশে আছে, খালেদা জিয়ার অপরাধ রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধের শামিল। রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধ যিনি বা যারা করেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী তাদের ভাগ্য নির্ধারিত।”

তিনি বলেন, “আদালতের রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেন, সে অবস্থায় বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই সরকারের।”

আদালতের আদেশেই সবকিছু হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, “তারা এখন উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন। আপিল করার পর আদালত যদি খালেদা জিয়াকে নির্বাচন করার অনুমতি না দেন, তাহলে আওয়ামী লীগের কী করার আছে? সরকারের কী করার আছে? আজ যেখানে রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধের দায়, সেখানে যদি নির্বাচন করার যোগ্যতা তিনি অর্জন না করেন, তাহলে সেখানে সরকারের কিছু তো করার নেই। এখানে বিষয়টি আদালতের, এখানে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।”

গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যেসব বক্তব্য দিয়েছেন, তার বক্তব্যে তাদের (বিএনপি) অপরাধী চরিত্র উন্মোচিত হওয়ায় বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “তারা দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখন তারা আবার যদি ক্ষমতায় আসতে পারে গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা তুলে দিয়ে, তারা তাদের দুর্নীতিপ্রবণ মুখোশ উন্মোচিত করবে। আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে, ক্ষমতায় আবার যেতে পারলে আবার তারা দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে।”

এর আগে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ আদালত। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।

কালের আলো/ওএইচ

Print Friendly, PDF & Email