এসএসসি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট

প্রকাশিতঃ 11:47 am | February 15, 2018

কালের আলো ডেস্ক:

প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে এসএসসি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট হয়েছে উচ্চ আদালতে। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত ও প্রশ্ন ফাঁস রোধে একটি আইন প্রণয়নের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেছেন আইনুন্নাহার সিদ্দিকাসহ সুপ্রিম কোর্টের তিন জন আইনজীবী।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগেই প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এমনকি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেও প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পেলে পরীক্ষা বাতিল হবে বলে জানিয়েছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন।

প্রশ্ন ফাঁসরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যতগুলো ব্যবস্থা নিয়েছে তার কোনোটিই কার্কর প্রমাণ হয়নি। এখন অবধি যতগুলো পরীক্ষা হয়েছে তার প্রতিটির এমসিকিউ এর প্রশ্ন আগেভাগেই এসেছে সামাজিক মাধ্যমে। কিন্তু কোনো পরীক্ষাই বাতিল হয়নি।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে একটি উচ্চ পর্ায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরের নেতৃ্ত্বে। ওই কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানানো হয়েছিল সেদিন।

কিন্তু কমিটি এখনও প্রতিবেদন দেয়নি আর মো. আলমগীর ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে নন।

শিক্ষামন্ত্রী এখন আর পরীক্ষা বাতিলের বিষয়ে কোনো কথা বলছেন না। তবে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, ‘পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত আপাতত নেই। কারণ আমরা চিন্তা করে দেখেছি এতে খুব একটা লাভ হবে না।’

এই অবস্থায় পরীক্ষা বাতিলের আবেদন নিয়ে উচ্চ আদালতে গেলেন তিন আইনজীবী। এদের একজন আইনুন্নাহার সিদ্দিকা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস হলে পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা ছিল। এখন প্রমাণ হয়েছে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। যারা আগাম প্রশ্ন পেয়ে যাচ্ছে, তারা স্পষ্টতই বেশি সুবিধা পাচ্ছে। এতে করে মেধার যাচাই হচ্ছে না। এটা বৈষম্যমূলক। তাই আমরা নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে এই আইনজীবী বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রিট করেছি আমরা তিন আইনজীবী। আজকে শুনানি হতে পারে। কোর্টের কার্য তালিকায় রয়েছে।’

Print Friendly, PDF & Email