সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তিতেই নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিতঃ 8:32 pm | March 08, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর প্রভূত উন্নতি সাধিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারিপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর সাফল্য ও অগ্রগতি ইতিবাচক। পোশাক শিল্পে নারীদের ভূমিকা সকল মহলে প্রশংসিত। এই শিল্প থেকে বৈদেশিক আয়ের সিংহভাগ অর্জন করা হচ্ছে।

সামাজিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমেই নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর বিচার প্রসাশন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশনের ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, জনজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমতা নিশ্চিত করণের বিষয়টি বাংলাদেশের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। দেশের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে সুপ্রিমকোর্ট সবসময়ই নারী পুরুষের সমতা ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারীর সম অংশগ্রহণের নীতিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে। নারীর সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে ও শিক্ষাক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে যথাপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নারী অধিকার রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, অধিকাংশ নারী বিচারক তাদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ঠ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য এবং সিনিয়র জেলা জজ তানজীনা ইসমাইলের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরা, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি ফাতেমা নজীব। এছাড়া সভায় দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত নারী বিচারকরা ।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email