ঢাবিকে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক ও ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় করতে চায় ছাত্রলীগ

প্রকাশিতঃ 11:15 pm | March 06, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) জয়ী হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে (ঢাবি) পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, সব প্রশাসনিক কাজকে অটোমেশনের আওতায় আনা, ২৪ ঘণ্টা লাইব্রেরি খোলা রাখা, সব শিক্ষার্থীর নিজস্ব ডাটাবেইজ ও অফিসিয়াল ইমেইল চালু করাসহ বিভিন্ন কাজ করতে চায় ছাত্রলীগ। নির্বাচিত হলে এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ঢাবিকে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় করতে চায় সংগঠনটি।

ছাত্রলীগের প্যানেলে জিএস প্রার্থী গোলাম রাব্বানী বলেন, আমাদের স্বপ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হবে। যেখানে সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা নিরাপদ আশ্রয়টুকু পাবে। পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন, আপদকালীন সমাধান হিসেবে দ্বিতল বা ত্রিতল বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও সিঙ্গেল সিট নিশ্চিত করবে ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেল।

নির্বাচিত হলে যেসব বিষয়ে কাজ করতে চায় ছাত্রলীগ- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় করতে রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে এবং আপদকালীন সমাধান হিসেবে দ্বিতল বা ত্রিতল বিশিষ্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও সিঙ্গেল সিট নিশ্চিত করা হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রমকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে; সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য অফিসিয়াল ইমেইল আইডির ব্যবস্থা করা হবে; মানহীন সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিল করা হবে এবং সাত কলেজের অধিভুক্তি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডারিক ইয়ারে ডাকসু যোগ করা হবে।

ডিজিটাল ল্যাব এবং আধুনিক লাইব্রেরি কমপ্লেক্স করা হবে; দিনে ২৪ ঘণ্টা এবং সপ্তাহে সাত দিন লাইব্রেরি খোলা রাখা হবে; অযৌক্তিকভাবে বর্ধিত সকল ফি এবং জরিমানার নিয়ম বাতিল করা হবে; ক্যাম্পাসে সকল গণপরিবহন বন্ধ এবং প্রাইভেট পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে; রিকশা ভাড়া নির্ধারণ করে রিকশাওয়ালাদের নির্দিষ্ট নম্বর এবং ড্রেসকোড দেয়া হবে; অ্যাপভিত্তিক ‘জয় বাংলা’ বাইক সার্ভিস চালু করা হবে; অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিবহন রুট ও যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে, বাস ছাড়ার সর্বশেষ সময়সীমা রাত ৯টায় নির্ধারণ করা হবে, ট্রিপের সময়সীমা অনলাইনে পাওয়ার জন্য অ্যাপ ব্যবহার করা হবে এবং বাসে ওয়াইফাই ব্যবহারের সুবিধা থাকবে।

প্রতিবছর আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলনের আয়োজন করা হবে; ক্যাম্পাসকে ধূমপানমুক্ত, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে; আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ থাকবে; প্রতি বছর কেন্দ্রীয়ভাবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ করা হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা ইনস্টিটিউট চালু করা হবে; মোতাহার হোসেন এবং মোকাররম ভবনে ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ করা হবে; শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করা হবে; হলের পাঠকক্ষে আসন বৃদ্ধি এবং জিমনেশিয়ামের ব্যবস্থা করা হবে; সমতাভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডে আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email