দেশের সমুদ্রসীমায় গ্যাস পাওয়ার আশা অর্থমন্ত্রীর

প্রকাশিতঃ 11:14 pm | February 18, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

প্রাথমিক জরিপের ভিত্তিতে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় গ্যাস পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

সোমবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকৃত জলসীমায় সমুদ্রের তলদেশে গ্যাস হাইড্রেটের উপস্থিতি, অবস্থান, প্রকৃতি ও মজুত নির্ণয়ের জন্য আগে সম্পাদিত জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করার জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে একটি ডেস্কটপ স্টাডি সম্পাদন-সংক্রান্ত পেশাগত সেবা ক্রয়ের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটি আনে।

এ প্রস্তাবের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে যে সমুদ্রসীমা আমরা পেলাম সেখানে পানির তলদেশে কী আছে তা আমাদের জানা দরকার। সে জন্য আমরা একটি ইংলিশ কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম স্টাডি করার জন্য। তারা স্টাডি করেছে। স্টাডিটার আরও ডিটেইলে যেতে হবে। সমুদ্রের নিচে যে যে সম্পদ আছে আমাদের, বিশেষ করে গ্যাস হাইড্রেট। গ্যাস হাইড্রেটা যেখানে থাকে একদিকে এটাকে কর্মাশিয়ালি ব্যবহার করা যায়, সেখানে দেখা যায় পরে এনাফ গ্যাস থাকে।’

তিনি বলেন, ‘সে জন্য তারা (বিদেশি কোম্পানি) আরও স্টাডি করবে, স্টাডি করার জন্য তাদের আমরা সুযোগ করে দিয়েছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যা পাবে তাদের ফাইন্ডিংস এবং সেগুলো এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড অল দিস থিংস এগুলোকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দেশের জন্য কাজে লাগাব, সম্পদ হিসেবে পাব, এক্ষেত্রে আমাদের পেট্রোবাংলাকে সম্পৃক্ত করে এ কাজটি করতে বলেছি। যেহেতু তারা (পেট্রোবাংলা) রান করবেন, তাই তাদের এখন থেকেই সঙ্গে আমরা নিয়ে নেব।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে বলা হয়েছিল ২ বছরের মধ্যে, আমরা বলেছি ২ বছর অনেক লম্বা সময়। এক বছরের মধ্যে তাদের ফাইন্ডিংস ও স্টাডি ইভ্যালুয়েশন করে আমাদের কাছে নিয়ে আসতে বলেছি।’

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী সেখানে গ্যাস থাকার কোনো তথ্য আছে কিনা- জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রাথমিক ইন্ডিকেশনে যেটা আমাদের সামনে আছে সেটা হলো আমাদের একপাশে আছে ভারত, আরেকপাশে মিয়ানমার। আমাদের জানা মতে, যে ফাইন্ডিংস আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয়েছে সেটা হলো- ভারতও পেয়েছে এবং মিয়ানমারও পেয়েছে। আমরা মাঝখানে আছি সে জন্য আমাদের প্রত্যাশা আমরাও পাব, আমরাও পেতে পারি। সে জন্য আমাদের এ স্টাডিটি কমপ্লিট করতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম বলেন, ‘আগে যুক্তরাজ্যের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফি সেন্টার জরিপ কাজ করেছিল। তাদেরই ফার্দার অ্যানালাইসিস অব ডেটার কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

কালের আলো/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email