জামালপুরে মেডিকেল কলেজ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রতিমন্ত্রীর সামনে এমপির ক্ষোভ

প্রকাশিতঃ 8:21 pm | February 02, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ কাজে ঠিকাদারের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

শনিবার দুপুরে শহরের মনিরাজপুর এলাকায় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের নবনির্মিত ছাত্রাবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যের সময় এ অভিযোগ করেন ওই সংসদ সদস্য।

মির্জা আজম বলেন, নির্মাণাধীন মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে নিম্নমানের কাজ হাতেনাতে ধরেছি, কিন্তু নিম্নমানের কাজ চলমান রয়েছে। ঢালাইয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিমেন্টের চেয়ে বালু ব্যবহার করেছে বেশি। দুর্ঘটনা এড়াতে ভবনটি ভাঙতে হবে। নিম্নমানের কাজ নিয়ে গণপূর্তের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, নিম্নমান ছাড়াও কাজও ধীরগতিতে চলছে। কাজের গুণগত মান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমি নতুন, অতকিছু জানি না, সবই জানে আমার বড়ভাই মির্জা আজম। তিনি পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তার আমলেই কাজ শুরু হয়েছে। তিনি যে অভিযোগ করলেন, তা যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে টেকশই কাজ ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন না হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে গণপূর্তমন্ত্রীর সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

জামালপুর শহরের নতুন বাইপাস সড়কের পাশে মনিরাজপুর এলাকায় ৩০ একর জমিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৪৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ ও ৫০০ আসন বিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন করা হচ্ছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কলেজটির প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা গণপূর্ত অধিদপ্তর দরপত্র আহ্বান করে। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৪৫৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি এর উদ্বোধন করেন এবং ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে এর সবগুলো অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email