৬ ঘণ্টা পরীক্ষা দিল ৪৮ জন শিক্ষার্থী

প্রকাশিতঃ 6:45 pm | February 02, 2019

প্রতিবেদক, কালের আলো:

২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল এপিসি বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব সুখলাল বাইনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে ৪৮ জন পরীক্ষার্থীর চলতি বছরের বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা নেয়া হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর নতুন প্রশ্নপত্রে তাদের আবারও পরীক্ষা নেয়া হয়। ফলে তিন ঘণ্টার পরীক্ষা ছয় ঘণ্টা দিয়েছে তারা।

বিষয়টি স্বীকার করে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন বলেন, ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র বণ্টনের প্রায় তিন ঘণ্টা পর বিষয়টি সবার নজরে আসে। পরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে তাদের নতুন বছরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শনিবার ছিল বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা। চাম্পাফুল এপিসি বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৪০ পরীক্ষার্থীর বেশির ভাগের হাতে এ বছরের প্রশ্ন পৌঁছালেও ৪৮ জন পরীক্ষার্থীর হাতে যায় ২০১৮ সালের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নপত্র। তারা ওই প্রশ্নে পরীক্ষাও দেয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে বিষয়টি জানাজানি হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের উত্তরপত্র সংগ্রহ করে নেয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি নিয়ে ওই ৪৮ জনের চলতি বছরের প্রশ্নপত্রে আবার পরীক্ষা নেয়া হয়। দুপুর ১টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে তাদের পরীক্ষা।

ইউএনও মোস্তফা শাহীন আরও বলেন, এ ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী কেন্দ্র সচিব সুখলাল বাইন। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সহকারী কেন্দ্র সচিব আরিফুল ইসলামকে। পুরাতন প্রশ্নপত্র ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দেয়ার কাজে জড়িত আরও ১৫ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, পরীক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email