একনেকে সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকার নয় প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিতঃ 6:00 pm | January 29, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১৬ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকার ব্যয় সম্বলিত নয়টি প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন

অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে পাওয়া যাবে ১৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা। আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে পাওয়া যাবে ২৮৫ কোটি টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ‘৭০টি মিটার গেজ (এমজি) ডিজেল ইলেকট্রিক (ডিই) লোকোমোটিভ সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত) (প্রস্তাবিত)’ প্রকল্পে ২ হাজার ৬৫৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে ৬১৪ কোটি ৯৯ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৪৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। আজকের একনেক সভায় এর মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

বিদ্যুৎ বিভাগের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ (১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংসথানসহ)’ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ হাজার ৬৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। সরকারি অর্থায়নে ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্পটি। আজকের একনেকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানকল্পে ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড স্থাপন (সংশোধিত)’ প্রকল্পে ১ হাজার ৩২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুরোটা সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্প ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। আজকের সভায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কের ষষ্ঠ কিলোমিটারে ১০৩.৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পে ১০২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৯ সালের জুনে। এর সময় বাড়িয়ে করা হলো ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

সভায় অর্থমন্ত্রী ও একনেক এর বিকল্প চেয়ারম্যান আ হ ম মুস্তফা কামাল; পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের; কৃষি মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক; তথ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম; শিল্প নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, মন্ত্রী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক; বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্শি; গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা অংশ নেন।

এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এএ/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email