পরিস্থিতি ডালেচালে খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেছে ঐক্যফ্রন্ট: আ’লীগ

প্রকাশিতঃ 2:57 pm | December 30, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে মতের ঐক্য না থাকায় তারা সামগ্রিক পরিস্থিতি ডালেচালে খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেছে।

রোববার সকালে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সকাল ৮টা থেকে সারা দেশে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে শান্তিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটোৎসবে শামিল হয়েছেন।

ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি গণমাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি। জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। ভোটদানে কোনো ধরনের ভয়ভীতি এখনও পর্যন্ত লক্ষ করা যায়নি। জনগণের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরও শক্তিশালী করবে।

এবারের নির্বাচন সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক এবং একাধিক দল অংশগ্রহণ করেছে। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক সংলাপ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় নির্বাচনের পথ উন্মোচিত করেছিলেন। দেশের জন্য যেটি ছিল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এটি প্রশংসার দাবি রাখে।

তিনি বলেন, গণমানুষের কল্যাণে আওয়ামী লীগের অবদান ও সাফল্যের কারণে নৌকার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বজয়ী নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে অবস্থান করেছে। ধ্বংসাত্মক রাজনীতির কারণে জনগণ বিএনপি-জামায়াত জোটকে প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ বিএনপির ডাকে কোনো সাড়া দেয়নি। বিএনপি-জামায়াত জোট জনগণের দ্বারা প্রত্যখ্যাত হওয়ায় নির্বাচনী প্রচারে নামতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে। নির্বাচনের আগের রাতে

বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীদের হামলায় পাঁচজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। বিএনপি-জামায়াত একদিকে সারা দেশে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

অন্যদিকে মিডিয়ার সামনে লাগাতার মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ড. কামাল হোসেনের মতো প্রবীণ ব্যক্তি তিনি কিভাবে মিথ্যাচার করছেন। তিনি বিএনপির এজেন্ট না থাকার কথা বলেছেন। অথচ সাতটি আসনে উচ্চ আদালতের রায়ে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় বিএনপির এজেন্ট না থাকারই কথা। যেখানে প্রার্থী নেই সেখানে এজেন্ট থাকবে কীভাবে। বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির প্রার্থী অথবা তাদের এজেন্টের ওপর জোর জবরদস্তি করা হয়েছে-এমন কথা কেউ বলতে পারবে না। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনে অযোগ্য যুদ্ধাপরাধী বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনি পরিবারসহ এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবার ও জঙ্গিবাদের প্রতিষ্ঠাতা পৃষ্ঠপোষকদের মনোনয়ন দিয়ে বিএনপির দেউলিয়াত্ব প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সারা দেশের জনগণকে অত্যন্ত সতর্ক ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বলতে চাই-দেশের এক বিশেষ মুহূর্তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে আমরা বাংলাদেশের জনগণকে গণতন্ত্রের ভোটোৎসবে যোগদান করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

কালের আলো/এপি/এমএইচএ

Print Friendly, PDF & Email